আজকাল ওয়েবডেস্ক: হিজাব বিতর্কে তসলিমা নাসরিনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
বাংলাদেশের লেখিকাকে ‘বিদ্বেষের প্রতীক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মিম প্রধান। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েইসি বলেন, ‘আমি এখানে বসে এমন কারও কথার জবাব দেব না যে কি না বিদ্বেষের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আমি এমন কারও কথার জবাব দেব না যাকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, যে ভারতের অংশ নিয়ে মিথ্যে বলছে এবং যে নিজের দেশে নিজেকে নিরাপদ ভাবে না। আমি এখানে বসে এমন কাউকে নিয়ে কথা বলব না।’
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানতে পারছে না নয়া দিল্লি, জবাবদিহি করতে রাষ্ট্রদূতকে সমন জারি!
কথা বলব না বলে অবশ্য অনেক কথাই বলে ফেললেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। হিজাব নিয়ে তসলিমার মতামত যে তাঁর পছন্দ হয়নি তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি তসলিমা বলেছিলেন, ‘কিছু মুসলিম মনে করেন হিজাব পরা অবশ্য পালনীয় কাজ আবার কেউ কেউ মনে করেন তা নয়। আসলে সপ্তম শতাব্দীতে কিছু নারী-বিদ্বেষী হিজাবের প্রচলন করেছিল। কারণ সেই সময় মেয়েদের যৌন সম্ভোগের উপকরণ হিসেবে মনে করা হত। তারা ভাবত যদি পুরুষরা মহিলাদের দিকে তাকায় তবে তাদের যৌনসম্ভোগের ইচ্ছা জাগবে। তাই মেয়েদের হিজাব এবং বোরখা পরতে হবে।’
তসলিমা আরও বলেন, ‘আমাদের আধুনিক সমাজে, একবিংশ শতকে মেয়েরা পুরুষদের সমান। তাই হিজাব, নিকাব, বোরখা এসব নিপীড়নের প্রতীক। আমি মনে করি, বোরখা হিজাব মেয়েদের স্রেফ একটা যৌন অঙ্গে পরিণত করে।’ বাংলাদেশি লেখিকার এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ওয়েইসি। তিনি বলছেন, ভারতের সংবিধান সব ধর্মের মানুষকে তাদের ধর্ম পালনের অধিকার দেয়। এক্ষেত্রে উদারপন্থী এবং ডানপন্থী, দুই পক্ষকেই বিঁধেছেন তিনি। মিম নেতা বললেন, ‘উদারপন্থীরা নিজেদের পছন্দের স্বাধীনতাতেই খুশি নয়। তারা চায় সব মুসলিমই তাদের মতো আচরণ করুক। ডানপন্থী মৌলবাদীরা আবার চায় আমরা আমাদের ধর্মীয় পরিচয় ছেড়ে দিই, কিন্তু দেশের সংবিধান সেই পরিচয় ধরে রাখার গ্যারান্টি দেয়।’
Fugitive: বাংলাদেশের ‘নীরব মোদি’ পিকে হালদারের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ কলকাতার বুকে!
Roddur Roy: কবি মমতা ব্যানার্জির পুরস্কার নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য! রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
CID: কলকাতায় তিন ভুয়ো কলসেন্টারে হানা সিআইডির, গ্রেপ্তার ২০
Babul Supriyo: কাটল জটিলতা, জয়ের ২৫ দিন পর শপথ নিলেন বিধায়ক বাবুল