আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামী সরকারি কর্মী হলে, তাঁর মৃত্যুর পর পেনশনে অধিকার থাকবে না দ্বিতীয় স্ত্রীর।
জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট। সোলাপুর জেলাশাসকের দপ্তরে কাজ করতেন এক পিওন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পেনশনের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট।
মামলাটি শোনে বিচারপতি শাহরুখ আঠাওয়ালে এবং মিলিন্দ যাদবের বেঞ্চ। সরকারি কর্মীর নাম শ্যাম তাতে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৫৮ বছর। ১৯৭৮ সালে মহাদেও নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। দু’জনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তার আগে ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে পার্বতীবাঈ নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন শ্যাম।
১৯৭৪ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মহাদেওয়ের সঙ্গে থাকতেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয় শ্যামের। তার আগে ১৯৮৭ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী মহাদেওকেই নিজের পেনশনের উত্তরাধিকার ঘোষণা করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর আদালতের দ্বারস্থ হন মহাদেও। দাবি করেন, শ্যামের উত্তরাধিকার হওয়ার শংসাপত্র তাঁকেই দেওয়া হোক। প্রথম স্ত্রী পার্বতীবাঈ তখনও বেঁচে। তাই আদালত তাঁকেও একটি পক্ষ হিসেবে এই মামলায় সামিল করে।
তখনই শ্যামের দুই স্ত্রী নিজেদের মধ্যে সম্পত্তি ও অন্য জিনিস ভাগ করে নেন। প্রথম স্ত্রী পার্বতী বাড়ি, সম্পত্তি, অবসরের পর স্বামী যে টাকা পেতেন, তার অধিকার ছেড়ে দেন। বদলে তাঁকে পেনশনের অধিকার ছেড়ে দেন দ্বিতীয় স্ত্রী মহাদেও।
২০০৫ সালে ক্যানসারে মারা যান পার্বতী। তাঁর পরেই চার বার আদালতের দ্বারস্থ হন মহাদেও। দাবি করেন শ্যামের পেনশনভোগের উত্তরাধিকার এবার তাঁকে দেওয়া হোক। সেই অধিকারে স্বীকৃতি দেয়নি আদালত। এবার বম্বে হাইকোর্টও খারিজ করল আবেদন। জানিয়েছে, হিন্দু বিবাহ আইন প্রথম স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিয়েকে বৈধতা দেয় না। তাই মহাদেওয়ের সঙ্গে বিয়েকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না বম্বে হাইকোর্ট। তাই তিনি পেনশনও পাবেন না।
Fugitive: বাংলাদেশের ‘নীরব মোদি’ পিকে হালদারের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ কলকাতার বুকে!
Roddur Roy: কবি মমতা ব্যানার্জির পুরস্কার নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য! রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
CID: কলকাতায় তিন ভুয়ো কলসেন্টারে হানা সিআইডির, গ্রেপ্তার ২০
Babul Supriyo: কাটল জটিলতা, জয়ের ২৫ দিন পর শপথ নিলেন বিধায়ক বাবুল