আজকালের প্রতিবেদন
দিল্লি, ১৪ আগস্ট
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক দিনের মতো ৬০ হাজারের ওপরে থাকলেও দেশে নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে সংক্রমিতের হার (পজিটিভিটি রেট) কমছে। শুক্রবার সকালে দেওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪,৫৫৩ জন। পাশাপাশি আইসিএমআর জানিয়েছে, ১৩ আগস্ট দেশের সরকারি ও বেসরকারি গবেষণাগারে ৮,৪৮,৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও গত কয়েক দিনের তুলনায় পজিটিভিটি রেট কমে ৭.৬০ শতাংশে নেমেছে। এছাড়া করোনায় মৃত্যুর হারও কমছে। আগেই তা ২ শতাংশের নীচে চলে এসেছিল। এদিন তা দাঁড়িয়েছে ১.৯৫ শতাংশে।
২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১,০০৭ জনের। আর একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৫,৫৭৩ জন। দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২৪ লক্ষ পেরিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুসারে, দেশে এ যাবৎ করোনায় ২৪ লক্ষ ৬১ হাজার ১৯০ জন আক্রান্ত। তার মধ্যে ১৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৫৫ জনই সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৭০.১৭ শতাংশ। এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভালর দিকে যাবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা আশা করছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে করোনার প্রতিষেধক এলে। ভারতে কোভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। তবে ভ্যাকসিন আসতে আসতে ডিসেম্বর হয়ে যাওয়ার কথা।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও তার সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্রের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা উচিত। কংগ্রেস নেতা এদিন সকালে এক টুইটে লিখেছেন, ‘ভারত করোনা টিকার সর্বাধিক উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে। তাই সুনির্দিষ্ট, সুপরিকল্পিত এবং ন্যায়সঙ্গত ভ্যাকসিন বিন্যাস পদ্ধতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যাতে এই টিকার প্রতুলতা, স্বল্প ব্যয় এবং সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়। ভারত সরকারের উচিত এখনই সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা।’
এখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের লক্ষ্য দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি করা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরীক্ষা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬,৬১,৫৯৫টি। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ২৬.৮৮ শতাংশ এখনও রোগমুক্ত হননি। তবে রাজ্যওয়াড়ি দৈনিক সুস্থ হওয়ার তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৯,৫৫৯ জন), মহারাষ্ট্র (৯১১৫ জন) ও কর্ণাটক (৮,৬০৯) জন। একইভাবে তামিলনাড়ুতে ৫,১৪৬, উত্তরপ্রদেশে ৪,১২৫ জন সুস্থ হয়েছেন ২৪ ঘণ্টায়। মহারাষ্ট্রে ৫,৬০,১২৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৩,৯০,৯৫৮ জন সুস্থ হয়েছেন। ১৯ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে করোনাতে। এখনও দেড় লক্ষের বেশি সক্রিয় কেস রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৪,১৪২, সক্রিয় কেস প্রায় ৯১ হাজার। কর্ণাটকে ২ লক্ষ পেরিয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ওই রাজ্যে ৭৮ হাজারের বেশি সক্রিয় কেস রয়েছে। তামিলনাড়ুতেও ৫৩ হাজারের বেশি এবং উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৫০ হাজার সক্রিয় কেস রয়েছে।