সংবাদ সংস্থা
আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, পুনে, ২৮ নভেম্বর
দেশের তিনটি শহর ঘুরে করোনা টিকার অগ্রগতি চাক্ষুষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সকালে গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে সফর শুরু করেছিলেন। দুপুরে হায়দরাবাদ। বিকেলে পুনে।
করোনার টিকা বাজারে নিয়ে আসতে রাত–দিন কাজ চালাচ্ছে জাইডাস ক্যাডিলা, ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ২০২১ সালের মার্চ মাসের ভেতর টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হবে বলে জানিয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা। আমেদাবাদ থেকে ২০ কিমি দূরে তাদের গবেষণাগার। এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই উপস্থিত হন জাইডাস ক্যাডিলার টিকা উৎপাদন কেন্দ্রে। পরনে সাদা পাজামা–পাঞ্জাবি। তার ওপর পিপিই কিট। ঘুরে দেখেন গবেষণাকেন্দ্র। টিকা উৎপাদনের খুঁটিনাটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলেন। একঘণ্টার বেশি সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে মোদি টুইট করেন, ‘জাইডাস ক্যাডিলা করোনার ডিএনএ টিকা তৈরি করছে। দেশীয় টিকা। টিকা তৈরির কাজ কতদূর জানতে জাইডাস বায়োটেক পার্ক গিয়েছিলাম। গবেষকদের কাজ প্রশংসনীয়। এই কর্মযজ্ঞে ভারত সরকার সম্পূর্ণভাবে ওঁদের পাশে রয়েছে।’
বেলা ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের উদ্দেশে রওনা হন মোদি। দুপুর ১টায় পৌঁছোন হায়দরাবাদের হাকিমপেট বিমানঘাঁটিতে। তাঁকে স্বাগত জানান তেলেঙ্গানার মুখ্য সচিব সোমেশ কুমার। মোদি যান জিনোম ভ্যালির ভারত বায়োটেকের গবেষণাগারে। ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছে। টিকা নিয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এলার পাশাপাশি গবেষকদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। একঘণ্টা সময় কাটান গবেষণাগারে। তারপর টুইট করেন,‘ভারত বায়োটেকের টিকা সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখলাম। ট্রায়ালের অগ্রগতির জন্য বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এখানকার গবেষকরা আইসিএমআরের সঙ্গে কাজ করছেন।’
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ পুনে পৌঁছোন মোদি। টিকা উৎপাদনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিরাম। সিরামের গবেষণাকেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। টিকা উৎপাদন, বণ্টন ও কবে তা বাজারে আসতে পারে, সে সব বিষয় জানতে চান। সন্ধে ৬টা নাগাদ পুনে থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন মোদি।