সংবাদ সংস্থা, দিল্লি: মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রথম ১০০ দিনে দফারফা অর্থনীতির। দেশের শেয়ার বাজারের দিকে তাকালে ধরা পড়ে, এই ১০০ দিনে বাজার থেকে লগ্নিকারীদের ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। নাভিশ্বাস উঠেছে মোটর শিল্পের। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ বলেন, পাঁচ বছরে দেশকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিষেবা ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকা ঢালা হবে।
অর্থমন্ত্রী এদিন জানান, মোটর শিল্পের দুর্গতি সম্পর্কে সরকার ওয়াকিবহাল। তবে তাঁর দাবি, এর কারণটা শুধু জিএসটি নয়। মানুষের মন বদলে গেছে। গাড়ি কেনার চেয়ে উব্র, ওলা, গণপরিবহণ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করা সুবিধাজনক বলে মনে করছেন অনেকে। সে–কারণে চাহিদা কমছে। গাড়ির ওপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি চাপানো আছে। তা কমিয়ে ১৮ শতাংশে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে গাড়ি নির্মাতারা। নির্মলা বলেন, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক জিএসটি পরিষদ। এই মাসের ২০ তারিখ পরিষদের বৈঠক আছে। গাড়ির বাজারে প্রাণ জাগাতে সরকার যে কিছুটা উদ্যোগ নিচ্ছে, তা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি দপ্তরগুলির নতুন গাড়ি কেনার ব্যাপারে নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। আর বিভিন্ন সংস্থা গাড়ি কিনলে সম্পদের ক্ষয় বা ডেপ্রিসিয়েশন দেখাতে পারত ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। ৩১ মার্চের মধ্যে গাড়ি কিনলে সেটা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দেখানো যাবে। তাছাড়া বিএস ৪ গাড়ি কেনা যাতে বন্ধ না হয়ে যায় তার জন্য দাওয়াই, ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই গাড়ি কিনলে তা যতদিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে, ততদিন চালু থাকবে। অর্থমন্ত্রী এদিন ব্যাঙ্ক–সহ নানা ক্ষেত্রে মোদি সরকারের সাফল্যের ব্যাখ্যা করেন। জানান, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির মিলন কতদিনে হবে, সেটা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস। সংযুক্তির ফলে ব্যাঙ্কগুলি মজবুত হবে, আবারও দাবি জানান অর্থমন্ত্রী।
এদিকে অর্থনীতির হাল আসলে কেমন তা অনেকটাই ধরা পড়ছে শেয়ার বাজারের ছবিতে। ৩০ মে মোদি সরকার শপথ নেয়। তার আগের দিন বাজার বন্ধ হওয়ার সময় বিএসই–তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মোট বাজারমূল্য ছিল ১,৫৩,৬২, ৯৩৬.৪০ কোটি টাকা। আর ১০০ দিন পর গতকাল বাজার বন্ধ হওয়ার সময় অঙ্কটা কমে দাঁড়ায় ১,৪১,১৫,৩১৬.৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা উবে গেছে। এই ১০০ দিনে সেনসেক্স নেমেছে ৫.৯৬ শতাংশ বা ২,৩৫৭ পয়েন্ট, আর নিফটি নেমেছে ৭.২৩ শতাংশ বা ৮৫৮ পয়েন্ট।