আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দীর্ঘদিন সম্মুখসমরে থাকার পর সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরাতে সম্প্রতি সেনা পেছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও চীন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চীনের ‘বিতর্কিত’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘আপত্তি’ জানাতে শুরু করেছে ভারত। ব্রহ্মপুত্রের বহমানতায় বাধা তৈরি হলে জলসঙ্কটের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এমনকি বন্যারও আশঙ্কা থেকে যায়।
গত বছরেই এক চীনা কূটনীতিক জানিয়েছিলেন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তারপর এদিন তিব্বতের কমিউনিস্ট পার্টির এক সদস্য বলেন, ওই প্রকল্পে পরিবেশের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে আগামী এক বছরের মধ্যে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে দিতে হবে। এই বক্তব্য সামনে আসার পরই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ফের বিবাদে জড়াতে পারে দু’দেশ।
তিব্বত, ভারত এবং বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র। তিব্বতের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদের যে অংশ রয়েছে, যাকে স্থানীয় ভাষায় ইয়ার্লুং সাঙ্গবো বলে, তার উপরই ওই প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করেছে চীন প্রশাসন। প্রায় ৬০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবছে চীন, যা কিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হতে চলেছে। পরিকল্পনা মাফিক ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথে নীচের দিকে চারটি বাঁধ তৈরি হতে পারে। যদিও সরকারি সূত্রের বক্তব্য, ব্রহ্মপুত্রের যে অংশ দেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে, তাতে বিশেষ প্রভাব পড়বে না।