আজকাল ওয়েবডেস্ক: এখন যুবসমাজের মধ্যে হালকা দাড়ি এবং গোঁফ রাখার ট্রেন্ড চোখে পড়ার মতো। কত যুগ আগে বিজ্ঞানী ডারউইন বলে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে না হাঁটলে সময় তোমায় খেয়ে নেবে। তাই নতুন স্টাইলের সঙ্গে চলাটা যে জরুরি।
দাড়ি–গোঁফ রাখার স্টাইল আজকের নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় ১৮০০ শতকের পর থেকেই দাড়ি রাখা হয়ে ওঠে একটা নতুন ফ্যাশন। তার পর সময় যত এগিয়েছে তত এই ফ্যাশনের পালে হাওয়ার তেজ বাড়তে থাকে। যার থেকে বাদ যাননি আমেরিকার তৎকালিন রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কন।
তবে ধীরে ধীরে এই ট্রেন্ডে ভাটা পড়তে শুরু করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। আসলে তখন ক্লিন শেভ রাখার রাখার চল শুরু হলো। তাই তো ১৯৪০ সাল পর্যন্ত সমকালীন পুরুষদের মধ্যে দাড়ি রাখার প্রবণতা সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে ক্লিন শেভ লুক বেশিদিন জনপ্রিয়তার স্বাদ পায়নি। ফিরে এসেছে সেই দাড়ি রাখার চলই। আর এখন তো ইয়ংস্টারদের মতে দাড়ি মানে মাচো ম্যান, দাড়ি মানে বেশ কতক ফিমেল ফ্যান!
উপকারিতা–অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক—
১. স্কিন ক্যান্সারের প্রকোপ কমে
সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে দাড়ি থাকলে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি (ইউ ভি) ত্বকের সেভাবে ক্ষতি করতে পারে না। যতটা ক্লিন শেভ থাকলে করে থাকে। আর ইউ ভি রশ্মির সংস্পর্শ থেকে ত্বক যত দূরে থাকবে তত ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
২. অ্যাজমা এবং অ্যালার্জির প্রকোপ কমবে
পরিবেশে উপস্থিত ডাস্ট পার্টিকালসগুলি যাতে নাকের মাধ্যমে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে দাড়ি। আসলে দাড়ি হল একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যাকে ভেদ করে ধুলো–বালির পক্ষে শরীরে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও গোঁফ এবং দাড়ি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. বয়স কমবে বাড়বে না
অনেকেই মনে করেন দাড়ি রাখলে বুড়োটে লাগে। এই ধারণা কিন্তু একেবারে ভুল। আলট্রাভায়োলেট রশ্মির আঘাত কম লাগার কারণে যাদের দাড়ি রয়েছে তাদের ত্বকের ক্ষয় কম হয়। ফলে কম বয়সীদের মতো দেখতে লাগে।
৪. ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করে
তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে তখন শরীরকে গরম রাখতে দাড়ি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে বিয়ার্ড বাস্তবিকই সাহায্য করে। তাই খেয়াল করে দেখবেন ক্লিন শেভ থাকেন যারা তাঁদের তুলনায় দাড়িওয়ালারা কম রোগে ভুগে থাকেন।
৫. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে
দাড়ি কাটতে গিয়ে কেটে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সমস্যাটা হল এই ক্ষত থেকে মারাত্মক সংক্রমণ এবং তা থেকে মৃত্যু পর্যন্তও ঘটে থাকে। ভাববেন না একটুও বাড়িয়ে বলছি। গুগলে সার্চ করেও দেখতে পাবেন। এমন অনেক মানুষের নাম পাবেন যারা এইভাবেই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই দাড়ি রাখবেন কি রাখবেন না এই সিদ্ধান্ত আপনাদের! তবে দাড়ি রাখলে যে উপকার হয় কোনও সন্দেহ নেই।
৬. ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে
স্কিন স্পেশালিস্টরা লক্ষ করে দেখেছেন দাড়ি থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা সহজে হারায় না। কারণ এক্ষেত্রে দাড়ি অনেকটা রক্ষাকবচের কাজ করে থাকে। ফলে সহজে স্কিন ড্রাই হয়ে যায় না। তাই যারা সারা বছরই কম–বেশি ড্রাই স্কিনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা দাড়ি রাখার কথা ভাবতেই পারেন।