আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড় খেতে ভালোবাসতেন নেতাজি।
বিশেষ করে চা। আর মুখে থাকত কুচো সুপারি । শোনা যায় কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে থাকাকালীন চালু করেছিলেন একটি ক্যান্টিন। আজও নেতাজির জন্মদিনে সেই ক্যান্টিনের কর্মীরা নিঃশব্দে স্মরণ করেন তাঁকে। এদিন কলকাতা পুরসভার অনুষ্ঠান ছিল পুরসভার লনে। শুরুতেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম নেতাজির একটি ছবি প্রকাশ করেন। সেখানে মেয়রের চেয়ারে বসে রয়েছেন সুভাষচন্দ্র বসু। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে রয়েছে নেতাজির স্মৃতি। ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯২৪ সালে তিনি কলকাতা পুরসভায় চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এরপর বিধানচন্দ্র রায় মেয়র হলে তিনি অব্যাহতি নেন। জানা যায়, পুরকর্মীদের খাবারের সুব্যবস্থা করতে তিনি পুরসভার ক্যান্টিন চালু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সমাজে সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব বাড়ানো হোক: নেতাজির ১২৬ তম জন্মবার্ষিকীতে বার্তা
জানা যায়, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে খাদ্য তালিকায় প্রায় প্রতিদিন মিষ্টি থাকতই। আর খিচুড়ি ছিল তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। মধ্যাহ্নভোজে আম বাঙালির মতো ভাত, ডাল, তরকারিই বেশি পছন্দ করতেন। তবে শেষের দিকে লিভারের সমস্যায় লেবু, লবন ও চিনির জলই খেতে হত তাঁকে। শোনা যায়, চা ছিল নেতাজির সব থেকে প্রিয় পানীয়। তিনি দিনে ২০-২৫ বার চা খেতেন বলে জানা যায়। আর সবসময় সুপারি চিবোতেন তিনি। বাড়ির বারণ সত্ত্বেও শুনতেন না তিনি। প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সময় কফি হাউস থেকে সূর্য সেন স্ট্রিটের শরবত দোকান, সব জায়গাতেই নাকি যাতায়াত ছিল ছাত্র সুভাষের। চা-কফির সঙ্গে প্রিয় ছিল কাটলেটও। শোনা যায়, কলেজ স্ট্রিটের অন্যতম বাঙালি খাবারের দোকান ‘স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল’ -এও যেতেন নেতাজি। এখানে বহুবার শতরঞ্চি পেতে বন্ধুদের নিয়ে দুবেলা ভরপেট মাছ ভাত খাইয়েছেন নেতাজি। এছাড়াও ভীমচন্দ্র নাগের সন্দেশও তাঁর খুব প্রিয় ছিল বলে শোনা যায়।
Saraswati Puja: কোথাও থিম, কোথাও সাবেকিয়ানা, আল্পনা আর আলোয় সেজে উঠেছে ক্যাম্পাস
Kolkata: অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও নাগরিক মঞ্চের মিছিল, পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ধর্মতলা চত্ত্বর
Republic Day: ২৬ এর প্রস্তুতি, জানুন আজ রাত থেকেই বন্ধ শহরের কোন কোন রাস্তা
Kolkata: রেড রোড থেকে সোজা নিজের কলেজে মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন পড়ুয়াদের গান