আজকাল ওয়েবডেস্ক: শতাব্দী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাকে ডেকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছে ইডি। রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাই–এর শহিদ সমাবেশ থেকে এই দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেছেন, ‘কয়েকদিন আগে শতাব্দী আমাকে এসে বলেছে, দেখুন দিদি ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে তাও আবার আমায় ইডি ডেকে। শুধু শতাব্দীকেই নয়, ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিতকে ডেকেছে। ডেকে বলছে অমুক বিজেপি নেতার সঙ্গে কথা বলো। এমনকি জেলবন্দি একজনকে তো বলেছে, প্রভাবশালী এক নেতার নাম নিতে হবে। না হলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালের মতো অবস্থা করে দেব। তিনি বলেছেন পারব না।’
মমতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘৩৪ বছর সিপিএম–এর অত্যাচার সহ্য করে ক্ষমতায় এসেছি। তার পরও আমরা কারও গায়ে হাত দিইনি। একজন সিপিএম নেতাও গ্রেফতার হননি। এরা কয়েকটা ভোট পেয়েই ধমকাতে শুরু করেছে।’ মমতা এদিন ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআই, ইডির মতো স্বশাসিত কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘এভাবে ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখা যায়নি, যাবে না।’
কর্নাটকের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে ভর্ৎসনা করে মমতার কটাক্ষ, ‘কর্নাটককে ভাঙতে ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছে। এবার রাজস্থান ভাঙবে, মধ্য প্রদেশ ভাঙবে, ছত্তিশগড় ভাঙবে। আর কত ভাঙবে তোমরা। ভাঙতে ভাঙতে তোমাদের কোমরটাই ভেঙে যাবে।’
এদিনের সমাবেশে মমতার সুর বরাবরের মতোই ছিল বেশ চড়া। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ ভোকাল টনিক দেন তিনি। খেটে খাওয়া মানুষের কাছে পৌঁছতে শহর ছেড়ে দলের নেতাদের গ্রামেগঞ্জে যেতে নির্দেশ দেন। বলেন, ‘রাস্তায় নামতে হবে সবাইকে। রাস্তাই আমাদের রাস্তা দেখাবে। ঘরে বসে রাজনীতি হয় না।’