কাকলি মুখোপাধ্যায়: প্ল্যাটিনাম সিটি নিউ টাউনের রাস্তায় আবার ঘুরতে দেখা যাবে ঝঁাক ঝঁাক স্মার্ট–সবুজ সাইকেল। পুজোর আগেই স্মার্ট সিটি জুড়ে তরতরিয়ে ছুটবে। আধুনিক এই শহরের বাসিন্দারা আগেও পরিবেশ এবং পকেটবান্ধব সবুজ সাইকেল রাইডের আনন্দ পেয়েছেন। মাঝে নানা কারণে হারিয়ে গিয়েছিল। দেশের অন্যতম আধুনিক, স্মার্ট শহরের অধিবাসীদের কাছে আবার সাইকেল রাইডের আনন্দ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। করোনা–কালে এনকেডিএ–র এই উদ্যোগ বাসিন্দাদের কাছে উপহারের মতোই। নিউ টাউনের বাসিন্দা, ইকোস্পেসে কর্মরত আশিস সিংয়ের বক্তব্য, ‘কোভিড–১৯ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব খুব জরুরি। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হচ্ছে। কাছেপিঠে কোথাও যেতে হলে ভরসা রিকশা, অটো, অ্যাপ–ক্যাব। ক্যাব বা রিকশা করে যাওয়া বেশ ব্যয়বহুল। এই সময়ে সাইকেল হয়ে উঠেছে নির্ভরযোগ্য বাহন। এনকেডিএ–র এই উদ্যোগে তাই অবশ্যই কিছুটা স্বস্তি।’ সাইকেল ভাড়া দেওয়ার সংস্থা ‘চার্টার্ড’–এর সঙ্গে গঁাটছড়া বেঁধেছে এনকেডিএ। ইতিমধ্যে ১০০টি অ্যাপ–নির্ভর সাইকেল চলে এসেছে। হচ্ছে ২১টি ‘ডকিং স্টেশন’। এনকেডিএ–র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানালেন, মোবাইলের প্লে–স্টোরে গিয়ে ‘চার্টার্ড’ বাইক অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। পুরোপুরি জিপিএস–নিয়ন্ত্রিত বাইসাইকেল। মহালয়াতেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। কতক্ষণের রাইড, তার ওপর নির্ভর করবে ভাড়া। ২১টি পার্কিং স্টেশনে সাইকেলগুলি রাখা হবে। যাত্রীরা প্রয়োজনমতো রাইড বুক করতে পারবেন। নির্দিষ্ট ডকিং স্টেশনে গিয়ে বুকিং দেখালে সাইকেলের লক্ খুলে যাত্রা ‘স্টার্ট’ হয়ে যাবে। লেন মেনে সাইকেল চালাতে হবে। মূল রাস্তা ছেড়ে ভেতরের অলিগলি দিয়েও চালানো যাবে। ডকিং স্টেশন ছাড়া যত্রতত্র সাইকেল রেখে দেওয়া যাবে না। একটি ডকিং স্টেশন থেকে অন্যটিতে যেতে যতটা সময় লাগবে, তার ওপর নির্ভর করবে ভাড়া। গন্তব্যের ডকিং স্টেশনে সাইকেল রেখে ট্রিপটি ‘স্টপ’ করলে সাইকেল ফের লক্ হয়ে যাবে। জানা গেছে, নজরুল তীর্থ, ডিএলএফ টাওয়ার, রবীন্দ্রতীর্থ, প্রকৃতি তীর্থ, ইউনিটেকের মতো অফিস এলাকায় ডকিং স্টেশন তৈরি করা হবে।