মনোজিৎ মালাকার: খাস কলকাতায় আগামী দিনে জল পাওয়া যাবে তো? বড় কোনও ভূমিধস নামবে না তো? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে।
কারণ, কলকাতার ক্রমেই নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। নানা প্রচার করেও জলের অপচয় কমানো যাচ্ছে না।
বাড়ছে বহুতল। বাড়ছে বসবাসকারীর সংখ্যাও। চাহিদা মেটাতে বোরিং মেশিন ব্যবহার করে মাটির নীচ থেকে জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে অসাধু পানীয় জলের ব্যবসাও দিকে দিকে বাড়ছে। আগামী দিনের কথা না ভেবেই সাধারণ মানুষ জল অপচয় করে চলেছেন।
গবেষণা বলছে, গত পাঁচ থেকে ছ’বছরে প্রায় ১৪ মিটার কমেছে কলকাতার জলস্তর। আর এই জলস্তর কমলে যেমন একদিকে পানীয় জলের চরম সমস্যা হবে ঠিক তেমনই মাটির নীচ ক্রমশ আলগা হতে থাকবে। যার ফলে আগামী দিনে কলকাতা ভয়ঙ্কর অবস্থায় দাঁড়াতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর aajkaal.in-কে বলেন, ‘ক্রমশ জলস্তর কমছে। কখনও কখনও আবহাওয়া অনুযায়ী ২০ মিটার পর্যন্ত জলস্তর নেমে যাচ্ছে। মাটির নীচ ফাঁপা হচ্ছে। যার ফলে আশপাশ থেকে কোমল পলি চলে আসছে। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। এদিকে সমুদ্রের জলের উষ্ণতা ও উচ্চতা দুটোই বাড়ছে। ফলে এই ফাঁপা জায়গায় ওই সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু করবে। আর তা শুরু হলে শহর কলকাতা আগামী দিনে নোনা জলে ভরে যাবে। ১০ বছর পর আর মাটির নীচ থেকে মিষ্টি জল পাওয়া যাবে না। সামগ্রিকভাবে আগামী দিনে বিরাট বিপর্যয় আসবে। এদিকে বড় বড় বাড়ি হচ্ছে। দ্রুত যদি মাটির নীচ থেকে জল তোলা বন্ধ না হয় তাহলে আগামী দিনে মিষ্টি জল বলে আর কিছু থাকবে না।’
আরও পড়ুন: বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পুলিশের
কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায়? সুজীববাবু বলেন, ‘একটা উপায় রয়েছে। পলিমাটি যে বেরিয়ে যাচ্ছে তা আটকাতে হবে। তার জন্য মাটির নীচে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। অন্তত ৪৬ মিটার গভীরে এটি তৈরি করতে হবে। এর ফলে মাটি অনেকটাই দৃঢ় হবে। যার ফলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনাও অনেকটা কমানো যাবে। কিন্তু এটা করার জন্য সদিচ্ছা থাকা দরকার।’
Sudipta Sen: ‘টাকা নিয়েছেন’, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবার ‘ব্ল্যাকমেলের’ অভিযোগ আনলেন সুদীপ্ত সেন
Roddur Roy: কী কাণ্ড! কলকাতার পুজোয় এবার মহিষাসুরের জায়গায় রোদ্দুর রায়, মূর্তি গড়ার প্রস্তুতিও শুরু!
Patient Stuck in Carnish: হাসপাতালের কার্নিশ থেকে হাত ফসকে পড়ে গেলেন মানসিক রোগী! চাঞ্চল্য মল্লিকবাজারে
ছোট্ট গ্যারাজে পথচলা শুরু টেকনো ইন্ডিয়ার, ২৫ বছরে স্বপ্নের স্বপ্নপূরণ নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের