আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গেলেন রাজ্য বিজেপি’র সহ সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু। উলটে পরামর্শ দিয়ে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে মুসলিমদেরও স্থান দেওয়ার দাবি তুলে আগেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপি’র সহ সভাপতি। এই ব্যাপারে নিজের আগের অবস্থানেই দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে দলকে বিশেষ পরামর্শও দিলেন তিনি। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর তিনিই বলেছিলেন, এনআরসি–সিএএ রাজ্যের মানুষ মেনে নেননি।
এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চন্দ্রবাবু জানান, গণতান্ত্রিক দেশের মানুষের ওপরে জোর করে কোনও আইন চাপিয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, ‘একটা বিল যখন আইনে রূপান্তরিত হয়েছে, তখন প্রত্যেক রাজ্য তা মানতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশে তা কোনওভাবেই মানুষের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’ সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি মানুষের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। যা হিতে বিপরীত হতে পারে।
তাই বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তাঁর পরামর্শ, ‘আমি দলকে আগেও বলেছি যে এই আইনে একটু পরিবর্তন করলেই বিরোধীদের যাবতীয় প্রচারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের বলা উচিত যে এই আইন শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশে অত্যাচারিত হওয়া সংখ্যালঘুদের জন্য। কোনও ধর্মের কথা বলা উচিত নয়। পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের আহ্বাদিয়া এবং বালুচররা মুসলিম হলেও সংখ্যালঘু হওয়ার ফলে অত্যাচারিত। তাদেরও কথাও এই আইনে উল্লেখ করা উচিত ছিল।’
এমনকী দলের নেতারা যেভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করেন তাও অনুচিত বলেই মনে করেন চন্দ্রবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘সিএএ নিয়ে যাঁরা বিরোধিতা করছেন তাঁদের আক্রমণ করা উচিত নয়। আমাদের কাছে সংখ্যা রয়েছে মানেই আমরা যা খুশি তাই করতে পারি না। সিএএ নিয়ে কাউকে আক্রমণ না করে বরং মানুষের কাছে গিয়ে তা ভালভাবে বোঝানো দরকার।’ এই মন্তব্য কার্যত বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।