আজকাল ওয়েবডেস্ক: খুব সহজ একটা কথা। আজ আবার বলতে ইচ্ছে করছে, ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।’ প্রমাণ করে দেখালেন আমেরিকার রেহান স্ট্যাটন। বাংলায় যে পেশার নাম কাগজকুড়ানো, সেই কাজটিই করতেন মেরিল্যান্ডে। পরিবারের জন্য তো বটেই, তার ওপরে তাঁর কলেজের খরচ দিতে হত সেই রোজগার থেকে। আর আজ তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ব্যাচের সঙ্গে পড়াশোনা করবেন। তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে তহবিল, বুধবার পর্যন্ত যেখানে জমেছে ৪৬ হাজার ডলার টাকা।
স্বপ্নের পথে অনেক বাধা এসেছিল তাঁর। রেহানের মা ছেড়ে চলে যান তাঁদের। বাবা রেহান ও রেহানের ছোট ভাইয়ের দেখভালের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। কলেজে পড়াশোনা করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা ১৮ বছরের রেহানের কাছে ছিল না। তাই তিনি আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু করেন ‘বেটস্ ট্রাকিং অ্যান্ড ট্র্যাশ রিমুভাল’ স্যানিটেশন সংস্থায়। সংস্থার মালিকের পুত্র ব্রেন্ট বেটস্ তাঁর মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিল এবং তাঁকে তাঁর প্রাপ্য ছুটি নিতেও সাহায্যও করেছিল। সংবাদ সংস্থা সিএনএন–কে রেহান জানান, ‘আমি সারাজীবন যাঁদের কথার ওপরে ভরসা করে এসেছি, তাঁরাই আমাকে হতাশ করেছেন এবং তাঁদের কথাতেই হীনমন্যতা তৈরি হয়েছে আমার মধ্যে। সামাজিক শ্রেণীবৈষম্যের এক্কেবারে তলায় চলে গিয়েছিলাম আমি। সেখান থেকে এবার আমি ধাপে ধাপে উঠছি।’ কলেজ পাশ করার পর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি কনসালটিং ফার্মে অ্যানালিস্টের কাজ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুযোগ পেয়েছিলেন কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পেপারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষমেশ তিনি হার্ভার্ড ল’ স্কুলে সুযোগ পেয়ে গেলে সেটাকেই ছিনিয়ে নেন।