আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনুচ্ছেদ ৩৭০ তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় মাস ছয়েক কেটে গিয়েছে। তারপরও উপত্যকায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষার দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীদের বন্দি করে রেখেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চার মার্কিন সেনেটর মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেওকে চিঠি লিখলেন। পাশাপাশি যেভাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন মার্কিন সেনেটাররা। চলতি মাসের শেষের দিকেই সস্ত্রীক ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই মার্কিন সেনেটদের এই চিঠি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেনেটরদের মধ্যে, দু’জন ডেমোক্র্যাট এবং দু’জন রিপাবলিকান। তাঁরা ওই চিঠিতে বলেছেন, ‘ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ছ’মাস ধরে কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে রেখেছে। পাশাপাশি সেখানে ৭০ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত। ব্যবসাতেও ক্ষতি হচ্ছে এবং বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থাও। কাশ্মীরের কয়েকশ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আটক রাখা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজনকে আবার নাগরিক নিরাপত্তা আইনেক আওতায় আটক করা হয়েছে। ভারত সরকার যেভাবে অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারকে আশঙ্কায় ফেলেছে এবং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র লঙ্ঘন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’ এই কথা বলে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে, জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতির বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কঠোর জন নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা হয়েছে। এই কঠোর আইনের অধীনে কোনও ব্যক্তিকে কমপক্ষে তিন মাস এবং তারপর আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনা বিচারে বন্দি রাখা সম্ভব।