আজকাল ওয়েবডেস্ক: তবে কি যুদ্ধ আর আটকানো যাবে না? ইউক্রেনে কি তবে হামলা করবেই রাশিয়া? ম্যাক্সারের উপগ্রহ চিত্র সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
তাতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের পড়শি দেশ বেলারুস, ক্রাইমিয়া, পশ্চিম রাশিয়াতে বিপুল বাহিনী মজুদ করেছে রাশিয়া।
১০ ফেব্রুয়ারির উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ক্রাইমিয়ার অক্টিয়াব্রস্কোই বিমানঘাঁটিতে বিপুল বাহিনী রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধের সরঞ্জাম। অন্যদিকে ওই দেশেরই সিমফারোপোলের উত্তরে পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটিতে অন্তত ৫৫০টি তাঁবু ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি বহু যানবাহনও ধরা পড়েছে উপগ্রহচিত্রে। পরিত্যক্ত ওই ঘাঁটিতে কেন এত তৎপরতা, সেই নিয়েই বাড়ছে সন্দেহ।
ক্রাইমিয়ার উত্তর–পশ্চিম উপকূলে স্লাভনে শহরের কাছে এবং নোভুজেরনয়ের কাছেও প্রচুর বাহিনীর আনাগোনা দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে বেলারুসের জিয়াব্রভকা বিমানঘাঁটিতেও হেলিকপ্টার, সেনার যান, বাহিনীর অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইউক্রেন সীমান্ত। পশ্চিম রাশিয়াতেও একই ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহতে। সেখান থেকে ইউক্রেন সীমান্ত ১১৬ কিলোমিটার দূরে।
Drugs: উদ্দেশ্য এদেশে চিকিৎসা, জিম্বাবোয়ের সেই ক্যানসার রোগীর থেকে ৬০ কোটির মাদক বাজেয়াপ্ত
এবার অনেকেই মনে করছেন, চীনে শীতকালীন অলিম্পিকের পরেই হয়তো ইউক্রেনে হামলা করবে রাশিয়া। আবার অনেকে মনে করছেন, তার আগেই হতে পারে যুদ্ধ। আমেরিকা এক প্রকার নিশ্চিত, যে রাশিয়া আক্রমণ করবেই। সে কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
সূত্রের খবর, পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি আক্রমণের দিকে আর এক পাও বাড়ায় তবে ওয়াশিংটন তার সমস্ত মিত্রশক্তি নিয়ে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেবে। তাতে দ্রুত এবং ভয়াবহ মূল্য চোকাতে হবে দেশটিকে। বাইডেন আরও বলেন, ইউক্রেনে আর একবার আক্রমণের ফলে বহু মানুষের প্রাণ যাবে এবং তাতে রাশিয়ার ভাবমূর্তি খারাপ হবে।
এদিকে পুতিনের অভিযোগ, রাশিয়ার দাবিতে সন্তোষজনক সাড়া দেয়নি আমেরিকা এবং ন্যাটো। রাশিয়ার দাবি ছিল, ইউক্রনকে ন্যাটোর অন্তর্গত হওয়া থেকে আটকাতে হবে এবং ন্যাটোকে পূর্ব-ইউরোপ থেকে সেনা সরাতে হবে।