মলয় সিন্হা: নেপালে ৪১৪টি পর্বতশৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য খোলা। সে–দেশের পর্যটন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও ৮৫টি এমন শৃঙ্গ রয়েছে, যেখানে মানুষ পা–ই রাখেনি। পর্বতারোহীদের কাছে ওই সব শৃঙ্গকে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগ নিল নেপাল সরকার। বিদেশি আরোহীদের কাছে নতুন ৩৩টি পর্বতশৃঙ্গ জনপ্রিয় করতে এবং অভিযানে আগ্রহ তৈরি করতে ‘রয়্যালটি ফি’ না–নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপালের পর্যটন বিভাগ।
হিমালয়ের কোলে নেপাল ছোটখাটো একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্ব জুড়ে পর্বতারোহীদের প্রিয় গন্তব্য এটি। নেপাল ও চীনের সীমান্ত জুড়ে যে–অঞ্চল, সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতের ৮টি অবস্থিত। এখানেই রয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। এর টানে বিশ্বের নানা দেশের অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা আসেন ট্রেকিং এবং নানা শৃঙ্গ অভিযানে। এদিকে, অভিযান না–হওয়া ওই ৩৩টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের কাছে আরোহণের আদর্শ গন্তব্য হওয়ার সব সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন নেপালের পর্যটন বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) দান্দু রাজ ঘিমিরে। তিনি জানাচ্ছেন, অভিযান না–হওয়া শৃঙ্গগুলির প্রতি পর্বতারোহীদের আগ্রহ বাড়াতে নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতাও নেওয়া হবে। পর্বতারোহীদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হবে ৩৩টি শৃঙ্গ। তার আগে আরোহণের উপযুক্ত রুট তৈরি এবং বেসক্যাম্পগুলি ঠিক ভাবে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করছে নেপাল প্রশাসন। অভিযান না–হওয়া পর্বতশৃঙ্গগুলির বেশির ভাগের অবস্থান পশ্চিম নেপালের ডারচুলা, বাজহ্যান্ড ও হুমলা জেলায়। ৩৩টি শৃঙ্গ ‘রয়্যালটি–ফ্রি’ হওয়ায় বিদেশি পর্বতারোহীদের কাছে খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হবে বলে দাবি নেপালের পর্যটন বিভাগের ডিজি–র।
বাংলার বিশিষ্ট পর্বতারোহী দেবরাজ দত্ত এ ব্যাপারে জানান, ‘নেপাল সরকার নতুন শৃঙ্গগুলির অভিযানে রয়্যালটি ফি তুলে দেওয়ায় খরচ অনেক কমে যাবে। এতে অনেক পর্বতারোহী যেতে উৎসাহ পাবেন।’ পর্বত–অভিযাত্রী সঙ্ঘের সম্পাদক শ্যামল সরকার জানাচ্ছেন, ‘পর্বত অভিযানের খরচ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নতুন শৃঙ্গগুলিতে রয়্যালটি ফি তুলে দেওয়ায় বাংলার নতুন পর্বতারোহীরাও যাবেন অভিযানে।’