আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'ভুঁড়ি'! লজ্জায় ফেলে দেওয়ার জন্য এই একটা শব্দই যথেষ্ট। ঝরঝরে, ফিট চেহারা কে না চায়, কিন্তু ব্যস্ত জীবনযাপনে সবার পক্ষে জিমে গা ঘামানো কিংবা ব্যায়াম করা সম্ভব নয়। তাহলে, উপায়? শখের সালোয়ার কিংবা টি-শার্টটা কি পরাই যাবে না আর? যাবে। শুধু চালু করতে হবে হাফডজন অভ্যাস।
১) প্রচুর জলপান: পুরনো কিন্তু সবথেকে দামি পরামর্শ। মানুষের ভুঁড়ি বাড়ে খাদ্যবস্তু সবটা হজম না হলে। সারাদিন ধরে জল খেতে থাকলে তা খাবার হজম করাবে। নিয়মিত এই অভ্যাস গড়ে তুললে আপনা থেকেই ভুঁড়ি কমতে শুরু করবে। তাছাড়া জল যে বিষক্রিয়া তাড়ানোর সবথেকে ভাল প্রাকৃতিক উপায় তা কে না জানে।
২) আদা চা: সর্দিকাশি হলে অনেকেই চায়ে একটু আদা থেঁতো করে মিশিয়ে নেন। শুধু সর্দিকাশি নয়, ভুঁড়ি কমাতে এবং ওজন কমাতে অব্যর্থ ওষুধ আদা। আদা-চা খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যা পাচনতন্ত্রে সাহায্য করে। ভুঁড়ির ফ্যাট পোড়াতেও কাজে আসে আদা। তাছাড়া শরীরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় আদা। এই হরমোনও ভুঁড়ির ফ্যাট কমায়।
৩) তরমুজ: তরমুজের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং পুষ্টিগুণ ভরপুর। ফ্যাট পোড়াতে দারুণ কাজে আসে তা। গ্রীষ্মকালীন এই ফল স্ন্যাকস হিসেবে অথবা জুস হিসেবে খেলে ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করবে।
৪) নারকেল তেল: দক্ষিণ ভারতীয়দের রান্নায় নারেকল তেলের ব্যবহার দেখে আমরা যতই নাক সিঁটকাই না কেন, খাবার সহজে হজম করাতে এটাই সেরা। সর্ষের তেল তো বটেই, অন্যান্য ভেজিটেবল অয়েলে রান্না খাদ্যবস্তু সহজপাচ্য নয়। খাবার হজম না হলেই শরীরে ফ্যাট জমা হতে থাকে। অন্যদিকে হজমের সঙ্গে সঙ্গে যকৃতেরও উপকার করে নারকেল তেল।
৫) ফলের রস: প্রত্যক্ষভাবে নয়, তবে ওজন কমাতে এবং ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করে ফলের রস। বেশি ক্যালরি এবং সুগার সম্পন্ন পানীয়ের জায়গায় ফলের রস ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৬) ঘুম: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে হজম সহ একাধিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই রাত জেগে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম না দেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। ভুঁড়ি এমনিই কমবে।