আজকাল ওয়েবডেস্ক: একমাস পর দেশের কোভিড গ্রাফ অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
দৈনিক সংক্রমণ কমে এক লক্ষের নীচে। জানুয়ারির শুরু থেকেই দেশে লাফিয়ে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ প্রক্রিয়ায় এই মুহূর্তে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, সংক্রমণের আতঙ্ক থাকলেও বুস্টার ডোজ নিতে চাইছেন না অনেকে। এই মনোভাবের কারণও ব্যখ্যা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় জানানোয় হয়েছে, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর দেশের ৪২ শতাংশের বুস্টার ডোজে তীব্র অনীহা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১.২৫ কোটি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবং কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন বাকি ২৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তির হার তুলনামূলকভাবে কম। এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজের প্রতি আগ্রহও নেই অনেকের। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও বুস্টার ডোজ নিয়ে অনীহা রয়েছে। মূলত প্যারামেডিকদের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এঁর মধ্যে রয়েছেন নার্স, থেরাপিস্ট এবং টেকনিশিয়ানরা। তাছাড়াও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাইরে গিয়ে টিকা নিতে চাননি অনেকে। ৮১ শতাংশ নাগরিকের দাবি, শিশুদের টিকাকরণ এবং বুস্টার ডোজ প্রক্রিয়া 'হর ঘর দস্তক' কর্মসূচির আওতায় আনা হোক।
আরও পড়ুন: এটাই ভারত! আল্লাহর কাছে লতা মঙ্গেশকরের আত্মার শান্তি কামনা শাহরুখের
Police: বয়স্কদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে প্রতারণা! নতুন চক্র ধরল কলকাতা পুলিশ
SSC Scam: ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ পার্থ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মামলা থেকে সরলেন দুই বিচারপতি
SSC: রক্ষাকবচ দিল না হাইকোর্ট, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই
East West Metro: বন্ধ হয়ে গেল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ, কেন?