সিপিআই–এর জাতীয় পরিষদের বৈঠক হয়ে গেল সম্প্রতি, কলকাতায়। শুরুতে, প্রকাশ্য সমাবেশ। সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা এনআরসি ক্যা–র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট বক্তব্য পেশ করে গেলেন। তিনি প্রবীণ নেতা। সর্বভারতীয় প্রেক্ষিতে কথা বলেন। গোটা বক্তব্যে সমালোচনা করেছেন বিজেপি–র। বলেছেন, লড়াইতে একজোট থাকতে হবে। আলাদা কর্মসূচি হতে পারে, কিন্তু আন্দোলন নিশ্চিতভাবে বিজেপি–র বিরুদ্ধে, আরএসএস–এর বিষাক্ত নীতির বিরুদ্ধে, মোদি–শাহর আক্রমণের বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্য, একটা লাইন বলেননি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানেন, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দলগুলোকেও পেতে হবে। দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী আঞ্চলিক দল তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক অবশ্য তাঁর ভাষণে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন। সিপিএম তথা রাজ্য বামফ্রন্টের লাইনে। কানহাইয়া কুমার আসতে পারেননি। বিহারে টানা আন্দোলন করছেন। এনআরসি–বিরোধী মঞ্চের সাতটি সভায়, জেলায় জেলায়, ভাষণ দিয়েছেন। তিনি কিন্তু অযথা তৃণমূলকে বিদ্ধ করেননি। জানেন, দেশে এনআরসি–র বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পথে নেমে লড়ছেন। রাজ্য কংগ্রেস জোট করেছে সিপিএম–এর সঙ্গে, এক সুরে আক্রমণ করছে তৃণমূলকে, নিয়মিত। নেতারা বিজেপি–র বিরুদ্ধে চার আনা বললে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দশ আনা বলছেন। সেই দলের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা গুরুত্বপূর্ণ নেতা কী বলে গেছেন? অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কলকাতায় এসেছিলেন বিশেষ কর্মসূচিতে। এনআরসি প্রসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করেন মোদি সরকারের। বলেন, অসমে সবচেয়ে বেশি কোপ পড়ছে বঙ্গভাষীদের ওপর। আর বলেন, বিজেপি যতই বলুক আর চেষ্টা করুক, মমতাকে হারাতে পারবে না। তরুণ গগৈয়ের ছেলে গৌরব গগৈ রাজ্যে এআইসিসি–র পর্যবেক্ষক। কংগ্রেসের কোনও সর্বভারতীয় নেতা তৃণমূলকে বিদ্ধ করাকে অগ্রাধিকার দেননি। সিপিআই, কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা যা বলছেন, তার পক্ষে বক্তব্য নেই কোনও জাতীয় নেতার।