কাশ্মীরে কী হবে, কবে স্বাভাবিক হতে পারে, আদৌ হবে কিনা, ভবিষ্যতের প্রশ্ন। কিন্তু এর মধ্যেই যা পরিষ্কার, কোনও বিরোধী পরিসর থাকতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি। ৪ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কাশ্মীরে কড়া ব্যবস্থা ভাঙিয়ে জেতার ছক তৈরি। কাশ্মীরে কংগ্রেস প্রায় চার দশক মোটামুটি শান্তি ধরে রাখতে পেরেছিল, যদিও রাজ্যবাসীর অর্থনৈতিক সুবিধা ন্যূনতম জায়গায় নিতে পারেনি। প্রধান দুই আঞ্চলিক দল এনসি এবং পিডিপি। দীর্ঘ ইতিহাস ন্যাশনাল কনফারেন্স–এর। আছে দুর্নীতির অভিযোগ, জনবিচ্ছিন্নতা ছিলই, কিন্তু একটা ব্যাপারে সন্দেহ নেই। কাশ্মীর যে ভারতের অপরিহার্য অঙ্গ, তা প্রকাশ্যে বলেছেন নেতারা। ফারুক ও ওমর আবদুল্লা ভারতবিরোধী জিগিরে গলা মেলাননি। ‘কাশ্মীরিয়ৎ’–এর কথা বলে জঙ্গিদের পাল্টা একটা মত ধরে রেখেছেন। উল্লেখযোগ্য, অন্তত আটজন এনসি নেতাকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহত পরিবারের লোকেরা জঙ্গি শিবিরে নাম লেখাননি, বিকল্প রাজনীতি করে গেছেন। মু্ফতি মহম্মদ সইদ এবং পরে মেহবুবা মুফতি একই পথে চলেছেন। যদি ‘দেশবিরোধী’ হয়ে থাকেন বিজেপি–র মতে, পিডিপি–র সঙ্গে জোট সরকার করেছিলেন কেন? ওমর ও মেহবুবা গ্রেপ্তার, ফারুক আবদুল্লা গৃহবন্দি। মাঝের পরিসরটা নষ্ট করে দিয়ে বিজেপি কি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিল না? এক টেলিভিশন বিতর্কে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অকাট্য যুক্তি দিয়ে বলছিলেন একজন। বিজেপি নেতা ঝাঁপিয়ে পড়লেন, ‘আপনি আসলে পাকিস্তানের লোক!’ কাকে বলা হল? কপিল কাক, যিনি প্রাক্তন এয়ার ভাইস মার্শাল, বায়ুসেনায় ৩৬ বছর দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। এবং তিনি একজন ‘কাশ্মীরি পণ্ডিত’। স্তম্ভিত কপিল কাককে আহত দেখাচ্ছিল। কোনও পরিসরই থাকবে না?