প্রায় বছর ঘুরে গেল, কোভিড–১৯ থেকে পৃথিবী এখনও মুক্ত নয়। ইওরোপে পরিস্থিতির উন্নতির পর, সম্প্রতি ফের চোখ রাঙাচ্ছে অতিমারী। প্রথম কথা, আগামী বেশ কয়েক মাস আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। বারবার হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ববিধি মানতে হবে। প্রতিষেধক তৈরির জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বে ১৪৪টি সংস্থার ট্রায়াল আছে নানা স্তরে। অন্তত পঁাচটি ক্ষেত্রে এগিয়েছে অনেক দূর, নিয়মিত সুসমাচার আসছে। কোন টিকা কত কার্যকরী, তা ঘোষণার বহর দেখে অস্বস্তি হচ্ছে, সন্দেহ নেই। ফাইজার জানাল, তাদের ভ্যাকসিন ৯০% কার্যকরী। পরদিনই রাশিয়া থেকে বলা হল, স্পুটনিক–ভি ৯২% কার্যকর। তারপর মডার্নার ঘোষণা, ৯৪.৫%। পিছিয়ে থাকা যায় না, ফাইজার ৯০% থেকে উঠে এল ৯৫ শতাংশে। যেন নিলামের হঁাকাহঁাকি। সম্ভবত, বাণিজ্যিক লড়াই। কোনও টিকা একশোয় একশো কার্যকরী হয় না বোধহয়। ৯০% হলেই যথেষ্ট বলা যেতে পারে। এর মধ্যে চীনও জানাল, তাদের সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে তৈরি। ভাল তো। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষকে টিকা সরবরাহের ক্ষমতা একটি–দুটি সংস্থার থাকবে না। আসুক দশটা ভ্যাকসিন, পৌঁছে যাক সব দেশে। উন্নত দেশগুলো আগে থেকে সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সজাগ, যাতে গরিব দেশের মানুষরাও পান। ভারত কতটা প্রস্তুত, বলা কঠিন। উদাহরণ, ফাইজারের টিকা রাখতে হয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। ভারতে অসম্ভব। রাস্তা নিশ্চয় বেরোবে। আমরা জয়টিকা পরাব বিজ্ঞানীদের কপালে।