কর্মীরা লড়ে যাচ্ছেন। রেলের সব স্তরের কর্মীদের কথা বলছি। লকডাউনের মধ্যেও মালগাড়ি চলেছে, রাজ্যে রাজ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যঁারা যুক্ত আছেন, বাড়তি পরিশ্রম করে চালু রেখেছেন। ভারতীয় রেল যে দেশের লাইফলাইন, মনে রেখেছেন। নানা স্তরের রেলকর্মীরা প্রস্তুত, যাত্রিবাহী ট্রেন চালু করা ও রাখার জন্য। বিপদের দিনে ছুটির আবদার করছেন না। পরিযায়ী শ্রমিক এবং নানা জায়গায় আটকে–পড়া যাত্রীদের ফেরাতে সমস্যা হচ্ছে, সেজন্য অফিসার থেকে সাধারণ কর্মীরা দায়ী নন। ৪ ঘণ্টার নোটিসে প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করলেন। বললেন, যে যেখানে আছেন থাকুন, অসুবিধে হবে না। ট্রেন, বাস বন্ধ। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার ও ন্যূনতম প্রয়োজনের জন্য রাজ্যগুলোকে অর্থ দিল না কেন্দ্র। অভুক্ত, অর্ধভুক্ত মানুষেরা ঘরে ফেরার জন্য মরিয়া। প্রধানমন্ত্রী হঠাৎই চালু করে দিলেন বিশেষ ট্রেন। খরচ? অসহায় শ্রমিকদের দিতে হবে। বাংলা–সহ কয়েকটা রাজ্য জানাল, ভাড়ার টাকা দেবে রাজ্য। ফেরানোর সময়ে রাজ্যগুলোকে বাস রেখে সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এই সময়ে জঘন্য রাজনীতি। সরকার বাহাদুর বাংলার মতো দু–একটা রাজ্যকে দোষারোপ করছেন, ফেরাচ্ছেন। কংগ্রেস ভেঙে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছে বিজেপি, করতে গিয়ে লকডাউন ঘোষণায় দেরি করেছে। সেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান বললেন, মহারাষ্ট্র–দিল্লি–গুজরাটের মতো বেশি আক্রান্ত রাজ্য থেকে ট্রেন আসতে দেবেন না। দেশের কর্তা নীরব। পথে কতজন মারা গেলেন, যেন কিছু এসে যায় না।