একটি সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেল দ্রুত রং বদলে ফেলল। মোদি সরকারের সমালোচনা করেন এমন কিছু সাংবাদিককে অপসারণের পরই সেই চ্যানেলে ফলাও করে ঘোষণা হল জনমত সমীক্ষার ফল, মোদিই ফিরছেন। কী আশ্চর্য, দেশের নানা প্রান্তেই উপনির্বাচন হচ্ছে, সেখানে কোথাও কিন্তু বিজেপি বা এনডিএ–কে জিততে দেখা যাচ্ছে না! ওই সমীক্ষাই বলছে, দক্ষিণ ভারতে দাঁত ফোটাতে পারছে না বিজেপি, অথচ নাকি গরিষ্ঠতার অঙ্ক পেরিয়ে যাচ্ছে এনডিএ। হতে পারে, গোয়েবলসীয় প্রচারে কত কিছুই না হতে পারে। ফেসবুকে বা অ্যাপে ‘ফেক নিউজ’ ছড়িয়ে দাঙ্গা বাধানো যেতে পারে, চাপের খেলায় বিরোধীদের কিনে নেওয়া যেতে পারে, ভাগের খেলায় কম শতাংশ ভোট পেয়ে গরিষ্ঠতার অঙ্কেও পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে। এবার বাস্তবের কথা শুনুন। কয়েক মাস আগে সেই চ্যানেলটিই মোদি সরকারের সাফল্য–ব্যর্থতা নিয়ে খবর করছিল। সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া গালভরা দাবির হিসেব নিয়ে তারা গিয়েছিল মাঠে–ময়দানে। মুদ্রা যোজনায় ১২ কোটি মানুষ ৬ লক্ষ কোটি ঋণ পেয়েছেন বলে সরকারের দাবি, অথচ ক্যামেরার সামনে এক ভুক্তভোগী বলছেন, ৫০ হাজারের বদলে মাত্র ২০ হাজার পেয়েছেন তিনি। ৭৫ শতাংশ টাকা পেয়েছেন পুরনো ব্যবসায়ীরাই। উজ্জ্বলা যোজনায় নাকি ৩৯,৪৭৭,৭২৩টি এলপিজি সিলিন্ডার পেয়েছেন গরিব মানুষ। ব্যস, ওই পর্যন্তই। একটি সিলিন্ডার পেলেও, প্রায় হাজার টাকা দিয়ে পরের সিলিন্ডারটি কেনার ক্ষমতা তাঁদের কারও নেই। বালিয়ার সীমা দেবীর কাহিনী এরকমই। তাঁকে নিজের হাতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই চ্যানেলের ওয়েবসাইটেই এই সব রিপোর্ট ছিল, যে চ্যানেল মোদিকে জিতিয়ে দিচ্ছে। আমরা কোনটা ধরব?