১৩০ বছরের মোহনবাগান ক্লাব বিশেষ সন্ধিক্ষণে। প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থার এটিকে–র সঙ্গে। ৮০ শতাংশ শেয়ার থাকবে এটিকে–র, ২০ শতাংশ মোহনবাগানের। শোনা গেল, ক্লাবের কয়েকজন সদস্য–সমর্থক বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতেও কেউ কেউ বলেন, বাণিজ্যিক সংস্থার কাছে বিকিয়ে দেওয়া হল ঐতিহ্যমণ্ডিত ক্লাবকে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া যদি হয় কয়েকজনের, হতে পারে। কিন্তু বাস্তব কী? ক্লাবের নাম হচ্ছে এটিকে–মোহনবাগান। ‘মোহনবাগান’ ব্যাজে এটিকে–র নাম সাদা হয়, জার্সি থাকবে সবুজ–মেরুন। লোগো সেই পালতোলা নৌকা। টিম গড়া ও চালানোর দায়িত্ব বাণিজ্যিক সংস্থার। যে সংস্থা রাজ্যে এবং দেশে বিখ্যাত। বোর্ডে থাকবেন সম্ভবত সৃঞ্জয় বসু ও দেবাশিস দত্ত। যাঁরা নিয়মিত পরিচালনায় থেকেছেন। অভিজ্ঞ। ওঁদের সাহায্য নিশ্চয় লাগবে। সভাপতি টুটু বসু। যিনি ‘মোহনবাগান’ ছাড়া অন্য কিছু ভাবেন বলে মনে হয় না। নিখাদ মোহনবাগানপ্রেমী। বহু বছর ধরে অনেক টাকা ঢেলেছেন ক্লাবে। ক্লাবকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বলেই বড় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্ভব হল। ধরা যাক, ফুটবল টিম চালাতে প্রতি বছর দরকার ৪০ কোটি টাকা। অনেকবার বিপদে, প্রয়োজনে ত্রাতার ভূমিকায় থেকেছেন টুটু বসু। তিনি সামনে গিয়ে দাঁড়ালে, সদস্য–সমর্থকদের ক্ষোভ–অভিমান থাকে না। বিশ্বাস করি, তাঁর মর্যাদা বিন্দুমাত্র ক্ষুণ্ণ হবে না। বাস্তবটা বোঝা দরকার। পৃথিবীর সব বড় ক্লাবের ‘মালিকানা’ এখন নানা দেশের বড় কোম্পানির হাতে। বার্সিলোনা, রিয়েল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুলের সমর্থকরাও আহত হননি। বরং, মোহনবাগানের ক্ষেত্রে সুবিধা, অভিভাবক হিসেবে থাকবেন টুটু বসু। বিকিয়ে দেওয়ার কথা উঠতে পারে না।