আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিনিয়োগের অনেক বিকল্প বাজারে চলে এসেছে এখন। কিন্তু কোন সেক্টরে বিনিয়োগ করা উচিত, কোনটা লাভজনক, কিংবা ঝুঁকি কতটা, এসব ভাবনাচিন্তা করতে করতেই পিছিয়ে আসেন অনেকে। কারণ স্বচ্ছ্ব ধারণার অভাব! ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে এখন যেহেতু খুব বেশি সুদ মেলে না, তাই মোটা অঙ্কের টাকা ঘরে তুলতে বিনিয়োগই এখন শ্রেষ্ঠ উপায়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সবার আগে আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে, Long term নাকি Short term Investment চাইছেন আপনি? এই উত্তরটি আপনার জানা থাকলেই দেখবেন, বৃত্তটি আরও ছোট হয়ে এসেছে। অনেকে আবার লোভের বশে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে টাকা ঢালতেও রাজি হয়ে যান। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে, ওই ঝুঁকি কি আপনি নিতে প্রস্তুত?
কয়েকটি স্পষ্ট ধারণা মাথায় রাখলেই দেখবেন, বিষয়টা এতটাও জটিল নয়! যেমন ধরুন...
• ইয়ং ইনভেস্টরদের জন্য শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে৷ তবে, এখানে ঝুঁকিও থাকে যথেষ্ট৷ কারণ, বাজার জুড়ে প্রতারণার ছক নেহাত কম নয়৷ তাই, বিনিয়োগের আগে যাচাই করে নিন৷ দ্বিধা তৈরি হলে এক্সপার্টদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন৷ তবে, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীর শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা জরুরি৷
• মিউচুয়াল ফান্ড এখন জনপ্রিয় বিনিয়োগগুলির মধ্যে অন্যতম। লং-টার্ম ইনভেস্টমেন্টের জন্য করাতে পারেন পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম৷ এটি অবশ্যই একটি সুরক্ষিত বিনিয়োগ৷ তবে এখানেও সুদের হার ইদানিং অনেকটাই কমেছে।
• রিকারিং ডিপোসিট সেভিংস স্কিম, ১০ বছর বা তদোর্দ্ধ গ্রাহকরা চেষ্টা করে দেখতে পারেন৷ যেখানে পিপিএফের মতই যতসামান্য বিনিয়োগের মাধ্যমে সঞ্চয় শুরু করা যায়৷ মিউচুয়াল অথবা ইনডিভিডুয়াল ভাবে বিনিয়োগ করা যাবে৷ সময়সীমা এবং বিনিয়োগের পরিমানের উপর নির্ভর করবে সুদের হার৷ বার্ষিকভাবে কিংবা পাঁচ বছরের ব্যবধানে করা যাবে এই স্কিম৷