আজকাল ওয়েবডেস্ক: অতিমারির আবহে বিশ্বজুড়ে প্রায় প্রতিটা মানুষই অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছেন।
যে অভিজ্ঞতা অতীতে হয়নি কারওই। তবে কঠিন সময়ে আরও মানিয়ে নিতে শিখেছেন সকলে। করোনা আবহে যে পরিবর্তন শিল্প থেকে বানিজ্য জগতে এসেছে, তা নিয়েই এবার আলোচনা সভা বসল নিউটাউনের ৩৪তম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এই ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
এই মনোজ্ঞ কনক্লেভের থিম ছিল 'Vision Of The Industry In New Era'। আলোচনায় এক মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য, কৌশিক সেন, অরিন্দম শীল, কুণাল ঘোষ সহ আরও বহু বিশিষ্টজন। অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন গৌতম ভট্টাচার্য। বিশেষত বছরের শেষেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তা ঘিরে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রথম বক্তা শ্রী ভিনিত কুমার করোনা আবহের কারণে টেকনোলজির প্রতি মানুষের আগ্রহের দিকটি তুলে ধরেছিলেন। 'টেকনোলজি স্ট্রাটেজি ইনোভেশন' নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পরিচালক অরিন্দম শীল উপস্থিত ছিলেন আলোচনা সভায়। তাঁর বক্তব্য, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল প্রেক্ষাগৃহ। এই অনিশ্চয়তার কারণে নতুন দিশা খুলে গেছে বিনোদন দুনিয়াতেও। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন তাবড় পরিচালক থেকে অভিনেতারা। ফলে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু হয়েছে এই দুনিয়ায়। বিশিষ্ট সংবাদিক কুণাল ঘোষের কথায়, একসময় মিডিয়া বলতেই প্রিন্ট বা অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমই বুঝতেন সকলে। কিন্তু অতিমারির আবহে ডিজিটাল মিডিয়ার মধ্যে ভরসা রাখছেন সকলে। ডিজিটাল মিডিয়া আগেও ছিল। তবে গত দুই বছরে এর পাঠক সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। নিঃসন্দেহে ডিজিটাল মিডিয়াই যে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ, তার দিকে আলোকপাত করেছেন তিনি।
ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ডেপুটি জোনাল হেড শ্রী প্রদীপ কুমার দাস কুণাল ঘোষের সঙ্গেই সহমত হয়েছেন। ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শ্রী জয়দীপ মুখার্জি এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই রাজ্য সরকার খেলোয়াড়দের যে সহায়তা করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। অভিনেতা ও নাট্যকার কৌশিক সেন বর্তমান পরিস্থিতিতে নাটকের দুনিয়া নিয়ে ব্যক্ত করেছেন নিজের মতামত। জানালেন, নাটকের জগতে অভিনেতার সঙ্গে দর্শকদের প্রত্যক্ষভাবে ভাব বিনিময় হয়। যা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সামান্য অক্সিজেনের জন্য ঘরের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন মানুষ। জীবনের প্রতি ধারণাই বদলে গেছে তাঁর। তবে করোনা এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, সমাজের সবচেয়ে বড় অসুখ 'মানসিক অসুস্থতা'। বিএনসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ড. অর্পন মিত্র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবাশিস দত্তকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যাঁর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আরও সাফল্য অর্জন করেছে। আলোচনার শেষে মুর্শিদাবাদের আবু সালেহ এবং তাঁর টিম পরিবেশন করেন রাই বেশে।