আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যরাত। তার ওপরে লকডাউন। পরদিন বিয়ে। ফুলওয়ালার কাছে কেবল পদ্মফুলই ছিল। অগত্যা তা দিয়েই মালা গাঁথতে হল। লকডাউন হোক আর যাই হোক। তাই বলে, মালাবদল হবে না এরাতে?। কিন্তু বর বিয়ে করতে যাবে কীভাবে? না পাওয়া যাবে ঘোড়া। না মিলবে ফুলে সাজানো গাড়ি। ওসব শৌখিনতা পোষারও উপায় নেই এ দুঃসময়ে। তাই ভরসা একমাত্র স্কুটি। তাতেও হার মানলেন না যজ্ঞেশ্বর জানা ও মৌমিতা রায়। বর পেশায় সাংবাদিক ও কনে পুলিশ। তিনবছর আগে তাঁদের আলাপ। গত বৈশাখে কথাবার্তা বলে বিয়ের তারিখও পাকা হয়ে যায়। কিন্তু মাথায় ভেঙে পড়ল করোনা। বিয়ে বাতিল। যজ্ঞেশ্বরও তাই জানতেন। আচমকাই আগেরদিন সন্ধ্যেবেলা ঠিক হল বিয়ে হবে। কনের বাড়ির সদস্যদের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। শুরু হল তোড়জোড়। বরের এক দাদার বাড়ির মন্দিরে বিয়ে হবে। মন্দিরটি দুই বাড়ির মাঝামাঝি পড়ে। বরের বাড়ি দীঘা। কনের বাড়ি কাঁথি। একদিকে করোনা, আরেকদিকে আমফান। দু’জনের কেউই সামাজিক দায়িত্ব পালন করার থেকে নড়চড় হননি। সবদিক সামলে তবে ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালনের সময়। আর সেটিও সম্পন্ন হল অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে। দুই বাড়ি থেকে ৮ জন করে মোট ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। স্কুটি করে যজ্ঞেশ্বরও পৌঁছে গেলেন মন্দিরে। পদ্মফুলের মালা দিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন যজ্ঞেশ্বর ও মৌমিতা।