মৌমিতা ভট্টাচার্য
নতুন ছবি ‘আলেয়া’–তে আপনার চরিত্র নিয়ে যদি কিছু বলেন?
তনুশ্রী: চরিত্রের নাম সুমনা রায়। যে পেশায় একজন সাব–ইনস্পেক্টর। সুমনা এবং তাঁর তিন স্কুল বন্ধু একসঙ্গে একজায়গায় বেড়ে ওঠে। এরপর চারটি মেয়ে দাঙ্গার কবলে পরে চার জায়গায় ছিটকে যায়। কারোর সঙ্গে দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্ক থাকে না। এরপর সুমনা রায়ের বদলি হয় হাসনাবাদে। যেখানে একটি মামলা হাতে নেন তিন। একটি খুনের মামলা, যেটা পরে সুমনা বুঝতে পারে যে তাঁরই এক বন্ধুর খুনের মামলা। এই নিয়েই গল্প। যার নাম ‘আলেয়া’।
বাংলাদেশের নায়ক আমন রোজা, যিনি আপনার বিপরীতে রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
তনুশ্রী: খুবই ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছে আমনের সঙ্গে কাজ করে। একটা গানের দৃশ্য শুট করেছি, যেখানে আমি বাইক চালাচ্ছি, আমন আমার পেছনে বসে। সাধারণত ছেলেরা বাইক চালায় আর মেয়েরা পেছনে বসে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়েছে। আমন খুব বড়সড় চেহারার এক পুরুষ, আমি প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিলাম। আদৌও আমনকে নিয়ে বাইক চালাতে পারব কিনা। কিন্তু বাইক প্রশিক্ষণের পর ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায় আমার কাছে।
শুটিংয়ে কোনও মজার অভিজ্ঞতা নেই?
তনুশ্রী: আমাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে, আলাদা করে কিছু বলার নেই।
নতুন নতুন বাইক চালানো শিখেছি, মাঝে মাঝেই ক্যামেরার ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। তো সেটা নিয়ে একটু হাসাহাসি হত সেটে। কিন্তু আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।
দর্শক আলাদা করে কেন ‘আলেয়া’ ছবিটিকে পছন্দ করবে?
তনুশ্রী: এই ছবিটা খুব বাস্তবধর্মী ছবি। আর এই ছবিতে আমি একজন রাফ অ্যান্ড টাফ পুলিস অফিসারের ভূমিকায় রয়েছি, যা আগে কোনওদিন আমি করিনি। সে কারণেই এই ছবিটা একটু আলাদা। দর্শকদের ভালই লাগবে।
নতুন কোনও ছবির কাজ শুরু করেছেন?
তনুশ্রী:অনেক ছবির শুটিং হয়ে গিয়েছে। ‘থ্রি জিরো নাইন’ ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবি মুক্তি পাবে। এরপরও আরও ছবি করব।
বিশ্বকাপ দেখা হচ্ছে নিয়মিত
তনুশ্রী: না, নিয়মিত হচ্ছে না দেখা। ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার ম্যাচ হলে দেখি, জার্মানির ম্যাচ দেখি।
কোন দলকে সমর্থন করছেন এবারের বিশ্বকাপে
তনুশ্রী: আমি ব্রাজিলের সমর্থক
মেসি না রোনাল্ডো
তনুশ্রী: দু’জনকেই ভাল লাগে।
তনুশ্রী চক্রবর্তী।