শুক্রবার ১০ মে ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

Investment: নতুন বছরে নতুন বিনিয়োগ

Rajat Bose | ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ ০৭ : ০২


সুশান্ত কুমার সান্যাল:‌ ‌‌বিশ্ব জুড়ে ২০২৩–এর মতোই ২০২৪–এ নজরে থাকবে মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও তাকে কেন্দ্র করে জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যয়ভার, বেকারত্ব ও সুদের হার পরিবর্তনের সমস্যা, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফোর্বসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি হয়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপের পরিকল্পনায় ইতিমধ্যেই ৫টি রাজ্য ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের দিকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাই ২০২৪–এ কেমন হতে পারে আপনার সঞ্চয় বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা, একটু দেখে নেওয়া যাক। প্রথমেই বলে রাখা যাক, আপনার সঞ্চয় বা বিনিয়োগ পরিকল্পনা আপনার চাহিদা বা নিজস্ব পরিকল্পনার ওপর নির্ভরশীল। তবে যাই হোক না কেন, মোটামুটি তিন ধরনের পরিকল্পনা থেকেই বেছে নিতে হবে আপানার পছন্দ।
প্রথমত, একেবারে কম ঝুঁকির পরিকল্পনা। যদি আপনি একেবারেই ঝুঁকি নিতে না চান, সেক্ষেত্রে আপনার পছন্দ হতে পারে সরকারি ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে বিভিন্ন মেয়াদী সঞ্চয়ের ক্ষেত্র, যেমন– স্থায়ী আমানত (যেখানে বর্তমান সুদের হার ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ রয়েছে; তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের প্রথম অর্ধে এই হার বজায় থাকলেও কমতে পারে দ্বিতীয় অর্ধে); পিপিএফ (বছরে ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দেওয়া যায়, যা করছাড়ের আয়তাভুক্ত; তাছাড়া ১৫ বছরের পর যা পাবেন, এর ওপর সুদও করমুক্ত); ডাকঘরে ৫ বছরের মাসিক আয় প্রকল্পও (সুদ ৭ থেকে ৭.৪০ শতাংশ); এনএসসি (কর ছাড়ের সুযোগও রয়েছে)। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সরকারি বন্ড, যেখানে সুদের হার ৭–৮ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। এখানে বিনিয়োগ প্রায় ঝুঁকিমুক্ত হলেও ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি রিটার্ন পাবেন না, সেটাও নিশ্চিত।
দ্বিতীয়ত, মাঝারি ঝুঁকির সঙ্গে সঞ্চয়ের বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা। যদি আপনি কিছুটা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যালান্সড মিউচুয়াল ফান্ডের বিষয়ে ভেবে দেখতে পারেন। কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও অনায়াসে রিটার্ন বাড়িয়ে নিতে পারেন। রয়েছে ডেট মিউচুয়াল ফান্ড, যেখানে আপনার নিবেশ সাধারণত স্থায়ী সিকিউরিটি, বন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করা হয়। এছাড়া রয়েছে ডিভিডেন্ড পেয়িং স্টকস, যেখানে কিছু ব্লু চিপস কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ার মার্কেট থেকে আপনি নিয়মিত ডিভিডেন্ড পেতে পারেন। রয়েছে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)–এর সুবিধাও। আপনার লাগানো ফান্ড শেয়ার বাজারে এর মাধ্যমে নিবেশ হয়ে থাকে বিভিন্ন শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা নানা প্রকার সিকিউরিটিজে। তবে এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বাজারের কিছু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল সংস্থার পরামর্শ নিতে পারেন। এদের মাধ্যমে সাধারণ রক্ষণশীল সঞ্চয়ের থেকে অনেকাংশেই পেতে পারেন অপেক্ষাকৃত বেশি রিটার্ন।
তৃতীয়ত, বেশি ঝুঁকির পথে এগোনো। হাতে যদি বাড়তি কিছু সঞ্চয় থাকে, আর যদি আপনার বয়স কম বা মাঝবয়সী হয়ে থাকে, তাহলে একটু সাহস করে ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ বাড়িয়ে নিন। এখানে একদিকে যেমন আপনার বিনিয়োগ একবারেই তলানিতে ঠেকে যেতে পারে বা আপনি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, অন্যদিকে রিটার্ন ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ বা তারও বেশি হতে পারে। তবে এখানে আপনাকে অবশ্যই শেয়ার বাজারের ওপর চোখ রাখতে হবে, আর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে সরাসরি ইকুইটিতে বিনিয়োগ বা ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড, ফরেক্স ট্রেডিং অথবা হেজ ফান্ডস–এর মতো বিষয়গুলো। তবে, মনে রাখা ভাল, এই সব পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে ভরসা রাখতে হবে।
ওপরে লেখা বিষয়গুলো ছাড়াও ২০২৪–এ সোনায় বিনিয়োগের কথাটাও মাথায় রাখুন। অর্থনীতিবিদদের মতে, সোনায় বিনিয়োগের ইতিহাস বলছে, বিগত কয়েক বছরে রিটার্ন হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ, আর সঙ্গে থাকছে আপৎকালীন নিরাপত্তার বিষয়টিও। আবার, বাজার জানাচ্ছে, রিয়েল এস্টেটের চাহিদা ও মূল্য ক্রমেই বাড়ছে যা ২০২৪ সালেও পূর্ণমাত্রায় বজায় থাকবে। তাই সুযোগ থাকলে অবশ্যই নতুন আবাসন কেনার পরিকল্পনাও মাথায় রাখুন। কারণ, রিয়েল এস্টেট আপনাকে অন্ততপক্ষে ৯.৫০–১১ শতাংশ রিটার্ন দেবেই, বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। আর আগামীতে কমবে গৃহঋণে সুদের হারও। তাই এখনই শুরু করুন নতুন বাড়ি কেনার পরিকল্পনা। তবে, অবশ্যই প্রাধান্য দিন সবুজ প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা আবাসনকে, যার ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা চাহিদা আপনার বিনিয়োগকে কয়েকগুণ বাড়াবে নিশ্চিতভাবেই।



বিশেষ খবর

নানান খবর

রজ্যের ভোট

নানান খবর

সোশ্যাল মিডিয়া