শুক্রবার ১০ মে ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

‌চব্বিশে রিয়েল এস্টেট আরও চাঙ্গা

Pallabi Ghosh | ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫ : ৫৭


সুশান্ত কুমার সান্যাল: ২০২৩–২৪–এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আগে রিয়েল এস্টেটের (হাউজিং) মোট বিক্রয়মূল্য ৪.৫০ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে যা ২০২২–২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ত্রৈমাসিকেই বেড়েছে উন্নতির হার।
অনেকেই বলছেন, এবছরে জিডিপি পৌঁছে যেতে পারে ৮ শতাংশের ওপরে। আর তা সম্ভব যদি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা তার উন্নতির শিখরে থাকে। ২০২৩–এর এক রিপোর্ট বলছে, দেশে রিয়েল এস্টেটের বিক্রি গত ১০ বছরে সর্বাধিক ছিল, যা ৩ লক্ষ ইউনিট ছাপিয়ে গেছে। আর ২০২৩–২৪–এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আগে রিয়েল এস্টেটের (হাউজিং) মোট বিক্রয়মূল্য ৪.৫০ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে যা ২০২২–২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ত্রৈমাসিকেই বেড়েছে উন্নতির হার। বিশেষত অপেক্ষাকৃত দামি আবাসনের ক্ষেত্রে ২০২২ সালে যা বিক্রি হয়েছিল, ২০২৩–২৪–এর প্রথম তিন ত্রৈমাসিকেই সেই সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে। তবে, অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের আবাসনের ক্ষেত্রে চাহিদার বেশ ঘাটতি দেখা গেছে এবছরে।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের ধারণা, ২০২৪ সালে এই বাড়বাড়ন্ত বজায় থাকবে। বিশেষত দেশের মেট্রো ও টিয়ার ১ শহরগুলিতে বজায় থাকবে রিয়েল এস্টেটের এই উন্নতি। কারণ, এই সব শহরে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা যাচ্ছে যে, প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের জোয়ার আসতে চলেছে যা এই ব্যবসাকে অনেকটাই উন্নতির পথে এগিয়ে দেবে। দেশের টিয়ার ২ শহরগুলিতেও বিনিয়োগ আসতে থাকবে বলে ধারণা, কারণ এই সব শহরেও আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন– রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট (আরইআইটি ) তাদের কাজকর্ম প্রসারের ওপর জোর দিয়েছে। ঠিক তেমনই জানা যাচ্ছে, দ্য গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টারস (জিসিসি) তাদের কারবার বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে, যা সাধারণ আবাসনের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিক সেক্টরেও উন্নতি ঘটাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২৪ সালে এই ব্যবসার উন্নতি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।
প্রথমত, দেশে অপেক্ষাকৃত কম দামি আবাসনের চাহিদাবৃদ্ধি। বেশি দামি আবাসনের চাহিদা বাড়লেও এখানে চিন্তার ভাঁজ ছিল গতবছরে। বাজারের খবর, ২০২৪ সালে এই ধরনের আবাসনের চাহিদাও বাড়তে চলেছে। তাই দাম আরও বাড়বে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সেক্ষেত্রে যদি কেউ এই ধরনের আবাসন কিনতে আগ্রহী থাকেন, তাহলে হাতে সময় একেবারেইই নেই। তাড়াতাড়ি অপেক্ষাকৃত কম দামি বা মাঝারি দামের আবাসন কেনার ঝুঁকি নিয়ে ফলুন, যা আগামীতে কিছুটা হলেও আপনাকে বাড়তি কিছু লাভ পাইয়ে দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, হিসেব বলছে, মানুষ ক্রমান্বয়ে সবুজ প্রকৃতির আবাসনের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। তাই দিনে দিনে বাড়ছে এই ধরনের আবাসনের চাহিদা। তাই এক্ষেত্রেও যদি কারওর এই ধরনের আবাসন কেনার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এটাই হবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময়।
তৃতীয়ত, দেশের সরকারের বিভিন্ন নীতির ওপরও খানিকটা নির্ভর করছে এই সেক্টরের অগ্রগতি। যেমন কিছু ক্ষেত্রে সরকার কমিয়েছে স্ট্যাম্প ডিউটির বোঝা। এতে উপকৃত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা। তাই এই ক্ষেত্রেও চোখ থাকবে। রিয়েল এস্টেটের উন্নতি বজায় রাখতে এর প্রভাব থাকবেই।
চতুর্থত, গৃহঋণে সুদের হার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২৪ সালে গৃহঋণের ওপর সুদের হার কমতে পারে। গৃহঋণের ওপর সুদের হার কম হলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কিছুটা বাড়বে।
পঞ্চমত, ধারণা করা হচ্ছে, উচ্চমূল্যের আবাসনের চাহিদাও কিছুটা বাড়বে। তাই এখানেও কিছুটা স্বস্তি।
জেএলএল সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে আবাসনের বিক্রি বেড়েছে ২০২২ সালের এর তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী কয়েক বছর বৃদ্ধির হার কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। আবার অন্য এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট (সিএজিআর) বজায় থাকবে ৯.২০ শতাংশের আশেপাশে।
এছাড়া ব্যতিক্রমী কিছু ক্ষেত্রেও চোখ থাকবে। যেমন তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেঙ্গালুরুতে আবাসন বিক্রির হার মুম্বইয়ের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। শহরের বিশেষত্ত্বের ওপরেও কিছুটা হলেও নির্ভর করে দামের ওঠানামা।



বিশেষ খবর

নানান খবর

রজ্যের ভোট

নানান খবর

সোশ্যাল মিডিয়া