শুক্রবার ১০ মে ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

TheArcArt

EXCLUSIVE: করুক ট্রোল, তবু আমি কুকথা বলব না: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

উপালি মুখোপাধ্যায় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ : ৩৪


নিয়মানুবর্তী ছিলেনই। সেই অভ্যাস আরও বেড়েছে। নির্দিষ্ট দিনে প্রচারে। নির্দিষ্ট দিনে শুটিংয়ে। কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু হার মানছেন না। কেন ছায়াছবি, সিরিজে অরাজি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে এলেন? ‘দিদি নম্বর ১’-এর ভবিষ্যত কী? এই প্রথম আজকাল ডট ইনের কাছে অকপটে ছোটপর্দার ‘বড় দিদি’...

প্রশ্ন: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটপর্দার ‘পাটরানি’। তাঁকে বড়পর্দায় ফেরাতে দরজায় প্রযোজকদের লম্বা লাইন। সবাই ব্যর্থ। ছবিতে, সিরিজে ‘না’। সেই তিনিই শেষে রাজনীতিতে? 
রচনা: ছবি বা সিরিজ করা অন্য জিনিস। আর রাজনীতি আলাদা। আমি অনেক আগে ঠিক করে নিয়েছিলাম, আর ছবি করব না। রাজনীতিতে আসার কারণ অন্য। অবশ্যই প্রথম কারণ ‘দিদি’, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি’কে আমি অনেক দিন থেকে চিনি, জানি। ‘দিদি’কে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি। ওঁর কাজের প্রতিও যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। তাই তিনি যখন ডেকেছিলেন, একটু ভেবে রাজি হয়ে যাই। (একটু থেমে অল্প হেসে) জীবন থেকে নতুন করে আর কিচ্ছু পাওয়ার নেই। সুস্থ জীবন কাটাতে যা যা দরকার সব পেয়ে গিয়েছি। এরপর কী? মনে হল, মানুষের জন্য কিছু করা হয়নি। আর সেটা করতে রাজনীতির মঞ্চ লাগে। 

প্রশ্ন: এটা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্ক, ‘দিদি নম্বর ১’-কে রাজনীতিতে আনতে মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্ক কী?
রচনা: (হেসে ফেলে), এটা আমি জানি না। বলতে পারব না। এটা ‘দিদি’ বলতে পারবেন। আমি জানি, ‘দিদি’ আমাকে খুব ভালবাসেন। ব্যস, এই পর্যন্ত।

প্রশ্ন: নির্বাচনে তারকা প্রার্থী মানেই ইন্ডাস্ট্রির আশা, তিনি বিনোদন দুনিয়ার পাশে দাঁড়াবেন। রচনা টলিউডের জন্য কী করবেন?
রচনা: আমায় তো হুগলি জেলার মানুষদের সুখদুঃখ শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বেছেছেন। বিনোদন দুনিয়ার জন্য নয়। ফলে, আমি আগে হুগলিবাসীর কথা শুনব। তাঁদের পাশে দাঁড়াব। অভাব-অভিযোগ মেটানোর চেষ্টা করব। তাঁদের মঙ্গল করার চেষ্টা করব। ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির জন্য অনেকেই রয়েছেন। তাঁরা সুষ্টুভাবে সেই দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রশ্ন: হুগলি নির্বাচন কেন্দ্র ঘুরে কী বুঝছেন? অঞ্চলবাসীরা কী চান?
রচনা: ওঁরা আজ পর্যন্ত নিজেদের প্রয়োজন জানাতে পাশে কাউকে পাননি। কেউ ওঁদের কথা শোনার জন্য ছিল না। এটা প্রধান চাওয়া। পাশাপাশি, জলের সমস্যা রয়েছে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জলসাথী প্রকল্প শুরু করেছেন। যাতে এলাকাবাসী আর্সেনিকমুক্ত জল পান। আরও অনেক কিছু করা হচ্ছে ওঁদের জন্য। 

প্রশ্ন: এতদিন শো করতেন ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা, এখন তিনি সাংসদ পদপ্রার্থী। দর্শক প্রতিক্রিয়া কী?
রচনা: এক আবেগ রয়েছে। ওঁদের কাছে আমি আগে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই ভাবে সম্মান করছেন, ভালবাসছেন। আমায় দেখতে আসছেন। এটা শুধু শো-তে নয়, প্রচারেও। দর্শকেরা আমায় বহু যুগ ধরে চেনেন, ভালবাসেন। নতুন পরিচয়ে সেই ভালবাসায় ভাটা পড়েনি। বরং, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আরও বেশি খুশি হবেন। 

প্রশ্ন: বেশ কিছু বছর ধরে রাজনীতিতে সৌজন্যবোধের বড় অভাব। এক আপনি, যিনি হাজার কটাক্ষের শিকার হয়েও কুকথায় নেই... 
রচনা: (আবার হাসি), এই ধরনের মানসিকতায় বিশ্বাসী নই। আজেবাজে কথা বলে কি মানুষের মন জয় করা যায়? জানি না। সেরকম শিক্ষায় তো শিক্ষিত নই। তাই ওই স্টাইল অফ পলিটিক্স পছন্দ করি না। যাঁরা এভাবে রাজনীতি করেন তাঁরা হয়তো এতেই বিশ্বাসী। আমি নই। (একটু থেমে) আমি তো সেই অর্থে রাজনীতিবিদ নই! প্রার্থী হওয়ার আগে জনসাধারণ ছিলাম। তখনও কোনও দিন মনে হয়নি, কাউকে ছোট করে, নোংরা ভাষায় কথা বলে বড় হবে। সব সময় কাজ কথা বলে, মুখের ভাষা নয়। (মৃদু হাসি) 



প্রশ্ন: প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এখন রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলা শিখছেন?
রচনা: খারাপ কথা বলা শিখছি না (হো হো হাসি)। বাকি সব শিখছি। লোকে বলে আমি নাকি দ্রুত শিখতে পারি। আমিও জানি, মন দিলে সব শিখে যাব। সাংসদ পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে শিখছেন। এবং দলের মানুষ, বিধায়ক, নেতামন্ত্রীরা আমায় হাতে ধরে শেখাচ্ছেন।

প্রশ্ন: আগামীতে "দিদি নং ১"-এ সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালক?
রচনা: সবার শুভেচ্ছা থাকলে সেটাই হবে। না হলে শুধু রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ই থাকবেন। 

প্রশ্ন: ছেলে মা অন্তপ্রাণ। প্রনীল নাকি ‘মা আরও দূরে চলে গেল’ বলে মনখারাপ করেছে?
রচনা: (মিষ্টি হেসে) ছেলে এখন বড় হয়েছে। আগের মতো পদে পদে মাকে লাগে না। নিজের মতো করে থাকতে শিখেছে। ওই জন্যই তো ‘দিদি’র ডাকে সাড়া দিতে পারলাম। ‘দিদি’ও বোধহয় বুঝেছিলেন, ছেলে মানুষের পর এবার রাজনীতিতে আসতে পারব। তাই ২০২৪ সাল আমার জন্য বেছে রেখেছিলেন।




বিশেষ খবর

নানান খবর

রজ্যের ভোট

নানান খবর

সোশ্যাল মিডিয়া