আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেতৃত্বই ছেড়ে দিলেন শ্রেয়স আইয়ার। দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি নেতৃত্ব করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলায় জাতীয় নির্বাচকরা শার্দূল ঠাকুরের হাতে ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
নেতৃত্ব না দিলেও শ্রেয়স আইয়ার কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে দলীপ ট্রফিতে খেলবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শ্রেয়স আইয়ার একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন এশিয়া কাপের দলে তাঁকে নেওয়া হবে। সাদা বলে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কোচ প্রবীণ আমরের সঙ্গে। কিন্তু এশিয়া কাপের জন্য যে ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দলে রাখা হয়নি শ্রেয়সকে।
দলে তিনি সুযোগ না পাওয়ায় বিতর্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। হতবাক হয়েছেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলিও। ১৫ জনের দলে জায়গা পাননি শ্রেয়স। এমনকী ২০ জনের দলেও নেই পাঞ্জাব কিংসের নেতা। অর্থাৎ, রিজার্ভ দলেও তাঁকে রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করা হয়নি।
যা দেখে রীতিমতো অবাক বাসিতও। তিনি বলেছেন, ''শ্রেয়স আইয়ার, যশস্বী জয়সওয়াল, মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ সামি যদি পাকিস্তানের খেলোয়াড় হত, তাহলে ওরা এ ক্যাটেগরিতে জায়গা পেত।''
এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হয় টি-২০ বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেই। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচকরা এশিয়া কাপের দল বেছে নেয়। সূর্যকুমার যাদব দলের অধিনায়ক। শুভমান গিল দলের সহ অধিনায়ক। এবারের এশিয়া কাপ হবে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ভারতের অভিযান শুরু ১০ সেপ্টেম্বর। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান মহারণ। শুভমান গিলকে নিয়ে চর্চা চলছিল। সুযোগ পেলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে ওপেন করবেন অভিষেক শর্মা এবং সঞ্জু স্যামসন।
অভিষেক এই মুহূর্তে টি-২০ ফরম্যাটে একনম্বর ব্যাটার। তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে সঞ্জুকে। যে সঞ্জু টি-২০ ফরম্যাটে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তিন এবং চারে তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকায় অধিনায়ক সূর্যর কাছে আব্দার করেছিলেন তিলক, তাঁকে যেন তিন নম্বরে পাঠানো হয়। সূর্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাকিটা ইতিহাস। অভিজ্ঞতা এবং কার্যকারিতার দিক থেকে বিচার করলে হার্দিক পাণ্ডিয়া যেকোনও দলের সম্পদ। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারওপর বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের হাতও দুর্দান্ত পাণ্ডিয়ার। টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স ভোলার নয়।
২০২৫ সালের আইপিএলে রান সংগ্রহের দিক থেকে শ্রেয়স আইয়ার ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। ১৭টি ম্যাচে ৬০৪ রান তাঁর ঝুলিতে। অপরাজিত ৯৭ তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। আইপিএলে সেরা ছন্দে থাকলেও জাতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য বন্ধ। যশস্বী জয়সওয়াল আইপিএলে ১৪টি ম্যাচ থেকে ৬টি পঞ্চাশ-সহ ৫৫৯ রান করেন। রিজার্ভ প্লেয়ারদের তালিকায় রাখা হয়েছে যশস্বীকে। বাসিত আলি বলেছেন, ''শ্রেয়সের সঙ্গে ব্যাপারটা ঠিক হল না। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার ঘটেছে শ্রেয়সের সঙ্গে। ওর দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল।''
