নিতাই দে,আগরতলা: জি- ২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে সেজে উঠছে রাজ্য।
ত্রিপুরা রাজ্যে এই প্রথম ৩ এবং ৪ এপ্রিল জি- ২০র ক্লিন এনার্জি ফর গ্রিনার ফিউচার সায়েন্স ২০ সম্মেলন হতে চলছে। মূল সম্মেলনের অনুষ্ঠানটি হবে হাপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা গ্রাউন্ডের ইনডোর হলে। এই সম্মেলন উপলক্ষে ত্রিপুরার বাঁশ দিয়ে প্রদর্শনী স্টল তৈরি হচ্ছে। এবং সম্মেলনের কনফারেন্স হল এর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নে কাজ চলছে বাঁশ দিয়ে। সম্মেলন উপলক্ষে খোলা হচ্ছে ৪৬ টি প্রদর্শনী স্টল এবং রাজ্যের আটটি জেলার পক্ষ থেকে রাজ্যের তৈরি উৎপাদিত্য বিভিন্ন সামগ্রী সহ অন্যান্য জিনিস প্রদর্শনী করা হবে। এই সম্মেলনে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিগণ রাজ্যে আসবেন। বিদেশি প্রতিনিধিতে রাজ্যের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রগুলি দেখানো হবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলছে রাজ্য সরকার। কিভাবে ত্রিপুরা পর্যটনকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়ানো যায় এবং কিভাবে রাজ্যে বিদেশি পর্যটকরা আসবে সে বিষয়ে ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন লিমিটেড ও পর্যটন দপ্তরকে বিশেষ নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে কেন্দ্র করে প্যাকেজ ট্যুর চালু, চা বাগান ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, ডুম্বুর জলাশয়ে বোট হাউস নির্মাণ সহ কিভাবে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। রাজ্যের পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করার ব্যাপারে তিনি নিগম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের রাজ্যে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা বাড়লে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে এবং সেই সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। পর্যটকদের সংখ্যার বৃদ্ধি মানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি। বর্তমানে রাজ্যের গ্রামগুলিও পর্যটনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। উন্নত পরিকাঠামোর জন্য আমাদের প্রান্তিক গ্রামগুলি পর্যটন মানচিত্রে উঠে আসছে। ধর্মীয় স্থানগুলিকে নতুন করে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র করে তুলতে হবে। তাই নাগরিক সুবিধা, ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভালো হোটেল এবং অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নতি হলে ত্রিপুরায় পর্যটন ক্ষেত্র ক্রমশ প্রসারিত হবে।' সে বিষয়ে দপ্তরকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রী। এদিন পর্যটন মন্ত্রী উজ্জয়ন্ত প্রসাদে একটি সংস্কৃতি মঞ্চ ও ফুডকোট নির্মাণ করার জন্য নিগম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ সংস্কৃতি মঞ্চে যাতে সপ্তাহের প্রতি শনি ও রবিবার সংস্কৃতি অনুষ্ঠান করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেন। তাতে উজ্জয়ন্ত প্রসাদ সম্পর্কে পর্যটকদের আকর্ষণ আরো বাড়বে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। এই জি ২০ সম্মেলন, প্রতিনিধিদের আগমনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্য সরকার। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, অধিকর্তা তপন কুমার দাস, যুগ্ম অধিকর্তা জয়ন্ত দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।