Tollywood: সাবিত্রী-মাধবী-রুদ্রপ্রসাদকে জীবনকৃতি, সম্মানিত রঞ্জিত মল্লিক, বেঙ্গল চলচ্চিত্র উৎসবে ব্রাত্য ঋত্বিক ঘটক!

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতার বুকে দু-দুটো চলচ্চিত্র উৎসব! ২০২২-এর শেষে ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ২০২৩-র গোড়ায় এনএফডিসি, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক (দূরদর্শন) সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক এবং টুডে স্টোরিজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদেরই উদ্যোগে ২৪ মার্চ সন্ধেয় সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে শুরু হল প্রথম বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। যেখানে উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বললেন, ‘‘’সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে। তাঁদের রাজ্যে এই উৎসব আলাদা মাত্রা পাবে, আশা রাখছি।'' যদিও উৎসব প্রাঙ্গনে সত্যজিৎ-মৃণালের কাটআউট আছে। দেখা যায়নি ঋত্বিক ঘটককে! কী কারণে ব্রাত্য 'সুবর্ণরেখা'র পরিচালক? প্রশ্ন করেও কোনও সদুত্তর পায়নি আজকাল ডট ইন।

 

 

বাংলার উৎসব। তাই বাঙালিয়ানায় মোড়া গোটা চত্বর। লাল কার্পেট বিছানো পথ। দুপাশে কাঁধে ঢাক নিয়ে তৈরি ঢাকির দল। অতিথিরা লাল কার্পেটে পা রাখলেই ঢাকে পড়ছে কাঠি। এভাবেই রাজ্যপাল থেকে শুরু করে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং রঞ্জিত মল্লিককে বরণ করে নেওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু। তারপরেই মঞ্চে অতিথি বরণ, প্রদীপ জ্বালানোর পর্ব। সে সব মিটতেই জীবনকৃতি দিয়ে সম্মানিত করা হয় সাবিত্রী-মাধবী-রুদ্রপ্রসাদকে। বিশেষ সম্মানে সম্মানিত রঞ্জিত মল্লিক। উত্তরীয়, স্মারক এবং এক হাঁড়ি কলকাতার রসগোল্লা— তাঁদের উপহার।

দুই প্রজন্মের মধ্যে সেতু বাঁধতে এসেছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলাদিত্য মৌলিক, সুমনা দাস, অশোক বিশ্বনাথন প্রমুখ।

উৎসব শুরু হয় সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’ দিয়ে। সঞ্চালনায় মধুমন্তী মৈত্র। উৎসবে থাকবে নানা জায়গার ছোট ছবি। বেছে দেবে এনএফডিসি, দূরদর্শন। প্রথম বছর বলে ছোট করে প্রতিযোগিতা হবে। বাংলার সমস্ত শিল্পী এবং নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হবে মুম্বইয়ের শিল্পীদেরও। সেই অনুযায়ী দায়িত্বে আছেন বর্তমান তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মার্চ মাসে সাধারণত, স্কুল-কলেজ মিলিয়ে ছোট-বড় পরীক্ষা থাকে... কথা শেষের আগেই শিলাদিত্যের কথা, ‘‘আগামী বছর উৎযাপনের সময় বদলে যাবে। পুরস্কৃত করা হবে প্রতিযোগীদের। আরও অনেক বড় এবং সুসংগঠিত ভাবে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা একযোগে এই উৎসবের আয়োজন করবে।’’

 

আকর্ষণীয় খবর