সংবাদসংস্থা, মুম্বই: ২৩ বছরের বন্ধন।
এক ছেলে অর্থ বিদ্যার্থীর মা। দূরে গিয়েও কোথাও আশিস বিদ্যার্থীর সঙ্গে জুড়ে ছিলেন রাজোশি। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তাই-ই বলছে। সেখানে এখনও তিনি বিদ্যার্থী পদবিটাই রেখে দিয়েছেন। ৬০-এ এসে ‘প্রাক্তন’ স্বামীর সাতপাক ঘোরায় তাই কি আহত তিনি? আশিস-রূপালি বড়ুয়ার বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই প্রথম স্ত্রীর পোস্ট তেমনই ইঙ্গিত করছে! ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি দু’টি পংক্তি ব্যবহার করেছেন। সেই নিয়েই শুরু জোর চর্চা।
আরও পড়ুন: Bollywood: ৬০-এ এসে ফের প্রেম! দ্বিতীয় বার সাতপাক ঘুরলেন আশিস বিদ্যার্থী
কী লিখেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে? তাঁর দুটো পোস্টেই চূড়ান্ত ধোঁয়াশা। একটিতে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাছের মানুষ কখনও জিজ্ঞেস করবে না, তার কাছে তোমার মূল্য কতটা। সে এমন কোনও কাজ করবে না, যাতে তুমি কষ্ট পাও।’’ কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি আরও একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা, ‘‘যাবতীয় দুর্ভাবনা এবং সন্দেহের শেষ। সব কিছু স্পষ্ট ভাবে ধরা দিচ্ছে। জীবনে শান্তি, স্থিতি ফিরুক। তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন জীবন শুরু হোক।’’ রাজোশি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি নিজস্বী দিয়ে লিখেছেন, ‘জীবন নামক গোলকধাঁধাঁয় বিভ্রান্ত হয়ো না’!
জামাইষষ্ঠীর দিন অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানে আইনি এবং আনুষ্ঠানিক বিয়ে সারেন আশিস-রূপালি। হিন্দি, তেলুগু, তামিল, কন্নড়, মালায়লি-সহ বহু আঞ্চলিক ভাষার অভিনেতার প্রথম বিয়ে প্রবীণ অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজোশির সঙ্গে। অভিনেতার বর্তমান স্ত্রী গুয়াহাটির বাসিন্দা। কলকাতায় প্রথম সারির ডিজাইনার পোশাকের দোকান তাঁর।
বিয়ের দিন দু’জনেই সাদা পোশাকে সেজেছিলেন। রূপালির পরনে নিজের রাজ্যের পোশাক, মেখলা। সাদা রঙের মেখলা চাদর, ব্লাউজে হরেক সুতোর কাজ। গায়ে সোনার ভারী গয়না। আশিস কেরলের বাসিন্দা। তাই তিনি পরেছিলেন সোনালি পাড় বসানো সাদা ‘মুণ্ডু’। প্রবীণত্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে আশিস আবার নতুন জীবন শুরু করলেন। সে কথা স্বীকার করে নিয়েই সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “জীবনের এই পর্যায়ে রূপালির সঙ্গে জীবন শুরু করলাম। অসাধারণ অনুভূতি। সকালে আইনি বিয়ে হয়েছে। সন্ধেয় ঘনিষ্ঠরা আসবেন।” কীভাবে দু’জনের আলাপ? রূপালির কথায়, "অনুষ্ঠানেই আলাপ। তারপর কথার বিনিময়। কিছুদিন আগে আমরা দেখা করি। ঠিক করি, বিয়ে করব। আমরা দু’জনেই চেয়েছিলাম, পারিবারিক অনুষ্ঠান করে বিয়েটা হবে।"