ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: প্রদীপ সরকার চলে গেলেন।
বাঙালির কাছে যেন আবেগ, অনুভূতির ‘প্রদীপ’ নিভে গেল। আমার কাছে ‘বাঙালিয়ানা’ শব্দটাই যেন ম্লান হয়ে গেল। মাথা থেকে পা পর্যন্ত বাঙালি। পোশাকে, কথায়, খাওয়াদাওয়ায়। আমি ওঁর সঙ্গে দুটো বিজ্ঞাপনী ছবি করেছিলাম। তার মধ্যে একটি তেলের বিজ্ঞাপন। সেখানে আমার দ্বৈত চরিত্র। একটি চরিত্রের নাম ঋতু। আর একটির নাম গীতু। প্রদীপদা মজা করে বলেছিলেন, ‘‘দ্যাখ, তোকে কিন্তু এই ছবিতে দুটো দেখানো হবে।’’ খুব মজা করে কাজ করেছিলাম আমরা।
আরও পড়ুন: Tollywood: ধূমপান নিষিদ্ধ! প্রদীপদার আফসোস, এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়: টোটা
প্রদীপদার কাজ নিয়ে কি অল্প কথায় বলা যায়? বাংলার উপন্যাস ‘পরিণীতা’ ওঁর হাতে পড়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গেল! ছবিটার অদ্ভুত মায়া। অদ্ভুত ভাললাগার আবেশ ছড়ায়। দাদা বাঙালির আবেগ খুব ভাল বুঝতেন। এই ছবিতে সেটাই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাল মিলিয়ে সুর করেছিলেন শান্তনু মৈত্র। গানগুলো এখনও সুযোগ পেলে কান পেতে শুনি। বিশেষ করে, ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’-র হিন্দি ভার্সন। যে কোনও বয়সের বাঙালি তাই ওঁর ছবি দেখতে বড্ড ভালবাসে। ওঁর ‘লগা চুনরি মে দাগ’ আমার আরও একটি প্রিয় ছবি।
RIP dada..🙏🏻Am one of the privileged ones who had an opportunity to work with you in two ad films...you have always made us proud🙏🏻 ...you have left us too early.....My condolences to the entire family..🙏🏻🙏🏻 #PradeepSarkar pic.twitter.com/tCuPp2p1jD
— Rituparna Sengupta (@RituparnaSpeaks) March 24, 2023
মুম্বই গেলে দাদার সঙ্গে দেখা করা আমার রুটিন ছিল। ওঁর সঙ্গে আড্ডা দিতে অদ্ভুত ভাল লাগত। একদম ঘরোয়া, মাটির মানুষ। এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, ভাবতেই পারিনি। অনেক ভাল ভাল কাজ রেখে গেলেন আগামী প্রজন্মের জন্য। প্রদীপদা, তুমি যেখানেই থাকো খুব ভাল থেকো।