নিজস্ব সংবাদদাতা: ছোট থেকেই স্বামী বিবেকানন্দকে ভারী পছন্দ। তাঁকে নিয়ে লেখা প্রচুর বই পড়া। তাই অভিনয়ের সময় মনে হয়েছে, খুব চেনা চরিত্র! তারপর? স্বামীজির ১৬০তম জন্মদিনে সকাল থেকে ফোন। আকাশ আট চ্যানেলের ধারাবাহিক ‘স্বামী বিবেকানন্দ’-র ‘বিলে’ সাফল্য পাড়ার ক্লাব উদ্বোধন করে ফেলেছে...!!
প্রশ্ন: স্বামীজির ১৬০তম জন্মদিন, ছোট পর্দার ‘বিলে’ সাফল্য কী করছে?
সাফল্য: (হেসে ফেলে) আজ আমার ছুটি। শ্যুটিং নেই। বাড়িতেই আছি। আমাদের বাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের বড় ছবি আছে। মা-বাবা ফুল, মালা দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন।
প্রশ্ন: পাড়ার বন্ধু, স্কুলের শিক্ষক, আত্মীয়রা কী বলছেন?
সাফল্য: ওঁরা সারাক্ষণ বলেন, তুইই তো আমাদের ‘বিলে’। আজ তোর জন্মদিন।
প্রশ্ন: প্রথম যখন জানলে তুমি স্বামীজি, খুশি হয়েছিলে?
সাফল্য: অবশ্যই। ছোট থেকেই স্বামীজির ভক্ত। অনেক বই পড়েছি। পর্দায় তাঁকে ফুটিয়ে তুলব, জানার পরে আমার মতোই আমার বাড়ির সবাইও খুব খুশি হয়েছিলেন।
প্রশ্ন: নতুন করে আবার পড়াশোনা?
সাফল্য: না না। আগে থেকেই তো পড়া ছিল।
আর একবার বই পড়ে নিয়েছি। ব্যস, তাতেই হয়ে গিয়েছে। অভিনয়ের সময়ে বেশি বেগ পেতেও হয়নি। মনে হয়েছি, আমি তো এঁকে চিনি!
প্রশ্ন: বাস্তবেও কি সাফল্য ‘বিলে’র মতোই?
সাফল্য: (হেসে ফেলে) একটু একটু। ঘরের মধ্যেই বল খেলি। জিনিস পড়ে যায় তখন। মা পিঠে দু’ঘা বসিয়েও দেন। তবে স্বামীজির মতো অত দুরন্ত নই। আরও একটি বিষয়ে মিল রয়েছে আমাদরে। স্বামীজির মতো আমাদেরও যৌথ পরিবার। মা-বাবা, কাকা-কাকিমা, ঠাম্মি সবাই মিলে বড় একটা বাড়িতে থাকি। খুব ভাল লাগে।
প্রশ্ন: সাফল্য কি স্বামীজির মতো অলৌকিক কিছু করতে পারে?
সাফল্য: এ বাবা! ওসব কিছু পারি না। যদিও অনেকে সেটাই বিশ্বাস করেন। আমায় পুজোর সময় ফুল দিয়েছেন। মিষ্টি খেতে দিয়েছেন। প্রণাম করেছেন। স্বামীজির জন্মদিনে পাড়ার একটি ক্লাব আমার হাতে উদ্বোধন হল। সবাই বিশ্বাস করেন, টানা ন’মাস অভিনয় করছি। আমার অনেক ক্ষমতা। তবে আমিও ঠাকুর-ভক্ত। রাধা-কৃষ্ণের। রোজ সকালে স্নান সেরে, পুজো দিয়ে তবে ভাত খাই।
প্রশ্ন: ‘বিলে’ তো এক সময় বড় হয়ে যাবে, সাফল্য তখন কী করবে?
সাফল্য: খুব মনখারাপ করবে। রোজ সেটে যেতাম। শ্যুটিং করতাম। শ্যুটের ফাঁকে খেলতাম। সবার সঙ্গে দেখা হত। খুব মজা হত। এগুলো মিস করব। কিচ্ছু করার নেই। মা-বাবা বলেছেন, আপাতত পড়াশোনায় মন দিতে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছি। ভাল ফল করে নতুন শ্রেণিতে উঠতে হবে।